চিরঞ্জীব পালবনহুগলিতে বিশেষভাবে সক্ষমদের কলেজ ও হাসপাতাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভ তুলে নিলেন আন্দোলনকারীরা। এক ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এই ধরনা আন্দোলন শুরু হয়েছিল। নানা শর্তে এবার সেই বিক্ষোভ তুলে নিলেন তাঁরা। তবে আন্দোলন জারি থাকবে। আন্দোলনকারীরা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানিয়েছেন, ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁরা গোটা বিষয়টি দেখবেন। এই কয়েকদিন তাঁরা ক্লিনিকে যোগ দেবেন না। তবে এরপরেও দাবি না মিটলে আন্দোলন চলবে।বিহারের গয়ার বাসিন্দা প্রিয়রঞ্জন সিং। বরানগর প্রতিবন্ধী হাসপাতালের ডাক্তারির ছাত্র। তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল হস্টেলের ঘর থেকে। মঙ্গলবার সকালে এই ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শোরগোল পড়ে যায়। আর তার জেরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বরানগরের প্রতিবন্ধী হাসপাতাল চত্বর। এমনকী পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অবস্থানে বসেছিলেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ ছিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও পাওয়া যায়নি।তবে বুধবার ৪০ ঘণ্টা পরে তাঁদের অবস্থান উঠে গেল। তাঁরা এদিন কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন। তাঁদের দাবি যাদের বিরুদ্ধে Ragging এর অভিযোগ উঠছে তাদের আইনি সহায়তার ব্যবস্থা করতে হবে কর্তৃপক্ষকেই। মিনিস্ট্রি অফ সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্টের তরফে প্রতিনিধিদলকে অবিলম্বে ছাত্রদের সঙ্গে দেখা করার দাবি করা হয়েছে।পাশাপাশি তাঁদের দাবি, ছাত্রকে নিয়ে যাওয়ার জন্য় অ্যাম্বুল্যান্সও সঠিক সময়ে পাওয়া যায়নি। সেকারণে ভবিষ্যতে যাতে এই অবস্থা না হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা ক্লিনিকে যাবেন না আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে সমস্ত অ্য়াকাডেমিক ক্লাসে তাঁরা অংশ নেবেন।