কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারিতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ব্যক্তিগত আক্রোশের জের বলে দাবি করেছেন তিনি। জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়েই মাথা কামিয়ে কৌস্তভের শপথ, স্বৈরাচারী সরকারের পতন না দেখে মাথায় চুল রাখবেন না। এই প্রতিবাদী সত্ত্বার প্রশংসায় করেন দিলীপ ঘোষ।
বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
জাতীয় রাজনীতিতে যুযুধান দু’পক্ষ। রাজ্য–রাজনীতিতেও একে অপরকে আক্রমণ করে থাকেন। কিন্তু রাজ্য প্রশাসনের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কাছাকাছি এলেন তাঁরা। কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারিতে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ব্যক্তিগত আক্রোশের জের বলে দাবি করেছেন তিনি। জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়েই মাথা কামিয়ে কৌস্তভের শপথ, স্বৈরাচারী সরকারের পতন না দেখে মাথায় চুল রাখবেন না। কংগ্রেস নেতার এই প্রতিবাদী সত্ত্বার প্রশংসায় করেছেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি নেতা? কৌস্তভের ঘটনা নিয়ে একদিকে তিনি সরকারকে আক্রমণ করেছেন। অন্যদিকে কৌস্তভের পাশেই দাঁড়িয়েছেন তিনি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘কেউ যদি শুরু করে, তাহলে প্রত্যুত্তর স্বাভাবিক। তবে সেটা একটা সীমার মধ্যে থাকা উচিত। ওঁর কাছে তথ্য থাকলে, তা সামনে আসা উচিত। কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতির ঠিক না। প্রতিহিংসা, বদলার রাজনীতি সবার পক্ষেই খারাপ।’ এটা তিনি সরাসরি রাজ্য প্রশাসন তথা সরকারের বিরুদ্ধে বলেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ঠিক কী বলেছিলেন কংগ্রেস নেতা? জামিনে মুক্তি পেয়ে কৌস্তভ বাগচী প্রথমে মাথা নেড়া করেন নিজের। তারপর সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘আজ আমি শপথ করছি, যতদিন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারছি ততদিন আমি মাথায় চুল রাখব না। আমার জামিন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রের জয়, সারা বাংলার মানুষের জয়। আর ওই বইটা এখন সারা বাংলার মানুষ পড়বে। কৌস্তভ বাগচী যা বলেছে, আবার বলবে। আরও ১০০ গুণ জোরালো ভাবে বলবে’।