বাংলাদেশি সন্দেহে মহারাষ্ট্রে আটক করা হয়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের এক যুবককে। শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমাণিত হল পরিবারের আশঙ্কা। জানা যায়, নাগপুরের একটি ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছিল বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা বাবাই সর্দারকে। অবশেষে মুক্তি পেলেন ওই যুবক। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো টিম তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলার শ্রমিকদের ওপর নির্যাতনে ক্ষুব্ধ মন্ত্রী, BJP নেতাদের বেঁধে রাখার নিদান
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগেই। পরিবার বাবাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না। তারা সন্দেহ করে, বাবাইকে কোথাও বাংলাদেশি বলে ভুলবশত আটক করা হয়ে থাকতে পারে। সেই খবর পৌঁছয় সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সঙ্গে সঙ্গেই সাংসদ একটি প্রতিনিধিদল পাঠান নাগপুরে। রবিবার রাত পর্যন্ত ওই প্রতিনিধি দল বাবাইয়ের অবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলেও, পরিবারের কাছে ফোন করে নিজেই খবর দেন বাবাই। তাঁকে ডিটেনশন ক্যাম্প থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান। পুলিশের পক্ষ থেকে তাঁর নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য জন্ম সনদ, মাধ্যমিকের প্রবেশপত্র সহ একাধিক নথি চাওয়া হয়েছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে সেই সব কাগজপত্র পাঠানো হলে প্রশাসন তাঁকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
এই বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী এবং বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল বলেন, নথিপত্র দেখেই তাঁকে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তাঁকে খুব শিগগিরই কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হবে। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বাবাই সুস্থ আছেন এবং আজ সোমবারই তাঁর কলকাতায় ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো প্রতিনিধি দল রবিবার রাত পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারেনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় হয়েছে বিষ্ণুপুর থানাও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় নথিপত্র যাচাই করেই বাবাইকে মুক্ত করেছে। তবে পরিবারের একটাই অনুরোধ, ছেলেকে ফিরিয়ে আনা হোক।