বাংলার বাইরে কাজ করতে গিয়ে ফের এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা নইমুদ্দিন শেখের মৃত্যু হয় মুম্বাইয়ে কাজ করতে গিয়ে। মৃত্যুর কারণ ঘনিয়েছে রহস্য। আঙুল উঠেছে এক নির্মাণ সংস্থার মালিকের দিকে। তবে গোটা ঘটনাই আপাতত তদন্তসাপেক্ষ।
আরও পড়ুন -
হাসপাতাল থেকে উদ্ধার মৃতদেহ
বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা নইমুদ্দিন ২০০০ সাল থেকেই কাজের সূত্রের রাজ্যের বাইরে থাকেন। পরিবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মুম্বইয়ের ভান্ডু এলাকায় ঠিকাদারের অধীনে কাজ করতেন তিনি। ছুটি পেলে বাড়ি আসতেন নউমুদ্দিন। তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবা গোলামউদ্দিন শেখের শেষ কথা হয় গত রবিবার ফোনে। কিন্তু তার পর থেকেই আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না নইমুদ্দিনের সঙ্গে। গত মঙ্গলবার ভান্ডু থেকে খবর আসে নইমুদ্দিনের মৃতদেহ সেখানকার এক হাসপাতালে রয়েছে। শুক্রবার সেই দেহ এসে পৌঁছেছে নলহাটির গ্রামের বাড়িতে।
আরও পড়ুন - পুজোর আগেই ছাড়া পাচ্ছে ৪৫ জন বন্দি, কারা কারা তালিকায়? কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী
কীভাবে মৃত্যু, ধোঁয়াশা
ঠিক কী কারণে নইমুদ্দিন মারা গেলেন, তা এখনও অধরা। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে এই বিষয়ে তাদের কোনও কথা জানায়নি। তবে পরিবারের অভিযোগ, এক নির্মাণ সংস্থার থেকে আট লক্ষ পাওনা ছিল নইমুদ্দিনের। সেই টাকা পাওয়ার জন্য বারবার তাগাদাও দিত নলহাটির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের এই যুবক। নইমুদ্দিনের বাবা গোলামের অভিযোগ, টাকা চাইতে গেলেই বারবার হুমকি দিত ওই সংস্থার মালিক। পরিবারের দাবি, টাকা চাইতে গিয়েই প্রাণ হারিয়েছে তাঁর ছেলে। তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি নইমুদ্দিনের বাবার।
আরও পড়ুন - ‘গরিবের পাশে থাকুন’, পুজো ঘিরে ক্যাবিনেট বৈঠকে কী কী নির্দেশ দিলেন দিদি?
কী কী অভিযোগ তাঁর বাবার?
প্রসঙ্গত, সংবাদমাধ্যমের কাছে আরও কিছু কথা বলেন গোলাম। তাঁর কথায়, ২০০০ সালে তিনিই ছেলেকে নিয়ে গিয়েছিলেন ওই অঞ্চলে কাজ করার জন্য। কিন্তু এর পর তিনি চলে আসেন বাড়িতে। তাঁর দাবি,‘আমি চলে এলেও ছেলে ওখানেই কাজ করত। তাঁর পাওনাও ছিল ৮ লক্ষ টাকা। কিন্তু সেই টাকা চাইতে গেলেই ঝামেলা হত। শেষ দিকে মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছিল ছেলের থেকে।’ ওই সংস্থার মালিকের শাস্তির দাবি করেছেন গোলামুদ্দিন শেখ।