গত বছর মুর্শিদাবাদ থেকে চার জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছিল অসম পুলিশ। ধৃতরা জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লা বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য। এবার ওই চারজনকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়ছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। তার জন্য বহরমপুর আদালতে আবেদন জানিয়েছিল তারা। তারভিত্তিতে ওই চারজনের বিরুদ্ধে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করল বহরমপুর আদালত। সূত্রের খবর, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে চারজনকে বহরমপুর আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: জেলেই হয়েছিল মগজধোলাই! ধৃত জঙ্গিদের ফোনে বিস্ফোরক তথ্য
জানা গিয়েছে, গত ডিসেম্বরে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থেকে প্রথমে এবিটির ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছিল অসম পুলিশ। তাদের নাম হল মিনারুল শেখ এবং আব্বাস আলি। জানা যায়, এই স্লিপার সেলের সদস্যদের কাজ ছিল মূলত মুর্শিদাবাদ ও আলিপুরদুয়ার থেকে স্থানীয় যুবকদের টেনে সংগঠনে ভর্তি করা এবং অস্ত্র জোগাড় করা। এছাড়া, উত্তরবঙ্গের যে করিডরটি রয়েছে যেটা উত্তর পূর্ব ভারতের সঙ্গে যুক্ত চিকেনস নেক হিসেবে পরিচিত সেই অংশের মাধ্যমে গোপনে অস্ত্র সংগ্রহ করে ভারত বিরোধী কাজে সক্রিয় হয়ে ওঠা। তাদের গ্রেফতারের পর তল্লাশির সময় কিছু বই, ১৬ জিবির পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন কিছু আই কার্ড উদ্ধার হয়। সংগঠনে নতুন করে রিক্রুটমেন্টের চেষ্টা চালাচ্ছিল তারা।
এছাড়াও ছোট ও মাঝারি ধরনের নেতাকে খুনের পরিকল্পনা ছিল। মূলত একটা সামাজিক বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করার পরিকল্পনা ছিল। এরপরেই গ্রেফতার করা হয় এবিটি-র অসম মডিউলের মাথা নুর ইসলাম মণ্ডল এবং শাব শেখ ওরফে শাদ রাডিকে। বাংলাদেশের বাসিন্দা শাব ভুয়ো নথি বানিয়ে এরাজ্যে থাকছিল। এ রাজ্যের দুটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটার তালিকায় তার নাম রয়েছে। এখন এই চারজনকে তদন্তের জন্য প্রয়োজন বলে মনে করছে এসটিএফ।
উল্লেখ্য, এই চারজনকে গ্রেফতারের পর অসম পুলিশ নিয়ে গিয়েছিল। বর্তমানে তারা গুয়াহাটির জেলে বন্দি রয়েছে। এখন তাদেরকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায়ছে এসটিএফ। তাদের যেটা বিভিন্ন তথ্য জানতে চায়ছে তারা। সেই সূত্রেই বহরমপুর আদালতে আবেদন জানায় এসটিএফ। তার ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে বহরমপুর আদালত। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানান, নুর এবং শাবের নির্দেশে এ রাজ্যে থাকা জঙ্গিরা অর্থ সংগ্রহের কাজ করত। এছাড়া সংগঠনকে ছড়িয়ে দিত। সেই কাজ কতটা এগিয়েছিল সেটা জানতেই জেরার প্রয়োজন বলে মনে করছেন আধিকারিকরা।