রাতারাতি বন্ধ হয়ে গেল জগদ্দল এবং হাওড়ার দুটি জুটমিল। সকাল সকাল মিলের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ। অনির্দিষ্টকালের জন্য মিল বন্ধের নোটিশ দেখে হতবাক হয়ে যান শ্রমিকরা। মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার শ্রমিক।মিল বন্ধের খবর পেয়েই গেটে জমায়েত করতে থাকেন শ্রমিকেরা। এর প্রতিবাদে গেটে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। এই অবস্থায় মিল বন্ধের প্রতিবাদে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি।
আরও পড়ুন: বন্ধ হয়ে গেল টিটাগড়ের লুমটেক্স জুটমিল, মুহূর্তে বেকার হলেন ১২৫০ জন শ্রমিক
জানা যাচ্ছে, জগদ্দলের অকল্যান্ড জুটমিলে কাজ করেন প্রায় চার হাজার শ্রমিক। অভিযোগ, কিছুদিন আগে ওই মিলে এক আধিকারিক শঙ্কর দেবনাথকে মারধর করা হয়। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি। এই ঘটনার পরই মিল কর্তৃপক্ষ মিল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ঘটনার জেরে রাজনৈতিক চাপের অভিযোগও উঠেছে। বিজেপি নেতা অর্জুন সিং দাবি করেছেন, তৃণমূল কাউন্সিলরের ছেলে মিল কর্তৃপক্ষের কাছে টাকা দাবি করেছিলেন। টাকা না দেওয়ায় মিলের আধিকারিকের উপর হামলা হয়। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রশাসনের কাছে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, হাওড়ার ফোরশোর রোডে অবস্থিত হাওড়া জুটমিলে কাজ করেন প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক। শনিবার সকালে তাঁরাও মিল গেটে তালা ও বন্ধের নোটিশ দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। জানা গিয়েছে, ১২ জুন মজুরি, পিএফ, পেনশনসহ একাধিক দাবি নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন শ্রমিকরা। এরপর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। দু’জন আধিকারিক ইস্তফা দেন। এরপরই মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়।
হাওড়া জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি অরবিন্দ দাস জানিয়েছেন, মিল অবিলম্বে খুলতে হবে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। পরপর দুটি জুটমিল বন্ধ হওয়ায় কয়েক হাজার শ্রমিকের পরিবার অনিশ্চয়তায় পড়েছেন। মিল পুনরায় চালু হবে কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে শ্রমিক মহলে।