রাজ্যে ফের জাল কাস্ট সার্টিফিকেটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধির পদ হাতানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার কাঠগড়ায় উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাপতিপতি পম্পা পালের বিরুদ্ধে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, পম্পাদেবীর শিডিউল কাস্ট ও ওবিসি দুই রকম সার্টিফিকেটই রয়েছে। ২টি সার্টিফিকেটেরই ছবি প্রকাশ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - মাটির সহনক্ষমতার বাইরে বর্জ্য, বেলগাছিয়া ভাগাড় নিয়ে বিপদের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের
আরও পড়ুন - তৃণমূল কংগ্রেস আয়োজিত ইফতারে নেতা–কর্মীদের মেনুতে বৈষম্য, অভিযোগ অন্দরে
আরও পড়ুন - যুবককে উত্তর কলকাতার যৌনপল্লিতে আটকে চলল ব্ল্যাকমেল, মোটা টাকা নিতেই গ্রেফতার
সোশ্যাল মিডিয়ায় সুকান্তবাবু লিখেছেন, ‘শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নৈরাজ্যের জমানায় কিভাবে অবৈধ শংসাপত্র তৈরির রমরমা করবার চলছে তা আবার একবার দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেলো! গতকাল করণদীঘির তৃণমূল বিধায়ক গৌতম পালের স্ত্রী শ্রীমতি পম্পা দেবী, যিনি আবার উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতির পদেও রয়েছেন, তিনি ডালখোলায় একটি প্রকাশ্য ধর্ম সম্মেলনে পরমপূজ্য পূর্নব্রহ্ম শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর এবং গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃত করে সম্বোধন করে সমগ্র মতুয়া ধর্মাবলম্বী ভাই-বোনদের অসম্মান করেছিলেন। সেই একই ব্যক্তির নামে দুইটি সার্টিফিকেট দেখুন -- ২০/০২/২০১৪ তারিখে যাঁর নামে সাব ডিভিশনাল অফিস থেকে 'ওবিসি সার্টিফিকেট' ইস্যু করেছিল, তাঁর নামেই আবার আরও একটি 'এস সি সার্টিফিকেট' ইস্যু করা হয়েছে ১১/০৮/২০২৩ তারিখে।
এর থেকেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে কিভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ উপায়ে শংসাপত্র তৈরি করছে রাজ্যের সমস্ত সারির তৃণমূল নেতারা। আর সমস্ত ক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছেন যোগ্য সাধারণ জনগণ! এই মুহূর্তে এই ন্যক্কারজনক ঘটনার পূর্ণ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’
সুকান্তবাবুর অভিযোগের সত্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও পম্পাদেবী বলেন, বিজেপির পাশে মানুষ নেই। তার কাস্ট সার্টিফিকেট রয়েছে, কার নেই এসব নিয়ে ওরা পড়েছে।
পম্পা দেবীর মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিজেপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক শংকর ঘোষ। তিনি বলেন, ভারতের সংবিধানে তফশিলি জাতি ও উপজাতির অধিকার সুরক্ষিত। যারা এই ধরণের মন্তব্য করে তারা আইনের ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত নয়। অথবা এরা ভাবছে যে তৃণমূলের হাত মাথায় রয়েছে মানে এরা সব আইনের ঊর্ধ্বে।
বলে রাখি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ। এই পদের পদমর্যাদা রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমান।