পাহাড়ে লাগাতার বৃষ্টি আর নতুন করে ধস নামার ফলে সেবক থেকে সিকিম ও কালিম্পংগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ করে দিল প্রশাসন। আগামী ৬ অগস্ট সন্ধে পর্যন্ত এই বন্ধ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল হাইওয়ে ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। অর্থাৎ, তিন দিন ধরে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম কিংবা কালিম্পংয়ের দিকে যাতায়াত সম্ভব নয় এই প্রধান সড়ক ধরে।
আরও পড়ুন: ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক তিনদিন বন্ধ থাকবে, যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞায় পর্যটকদের হয়রানি
শনিবার সকালেই নতুন করে ধস নামে ১০ মাইলের তারখোলা ও শ্বেতিঝোরা এলাকায়। পাহাড় থেকে বিশাল আকারের বোল্ডার নেমে আসে সড়কের ওপর। একাধিক জায়গায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাস্তা। প্রশাসন জানায়, এই পরিস্থিতিতে কোনও রকম ঝুঁকি নেওয়া ঠিক নয়, তাই জাতীয় সড়ক ১০ আপাতত বন্ধ রাখা হচ্ছে। এই অবস্থায় মূল রাস্তা বন্ধ থাকায় সিকিমগামী পর্যটক ও যাত্রীদের জন্য বিকল্প পথের কথা জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। কালিম্পং জেলা পুলিশও গ্যাংটকের দিকে যাওয়ার জন্য তিনটি রুটের কথা উল্লেখ করেছে। সেগুলি হল - জোরবাংলো-তিস্তাবাজার-রংপো হয়ে গ্যাংটক, সেবক-বাগরাকোট-লাভা-আলগারা-রংপো হয়ে গ্যাংটক এবং ডামডিম-গরুবাথান-লাভা-আলগারা-রংপো হয়ে গ্যাংটক
এদিকে, রংপো থেকে শিলিগুড়ির রাস্তাও অবরুদ্ধ শ্বেতিঝোরা এলাকায় ধসের জন্য।মুনসং-লাভা-গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা ধসের কারণে কাটারার কাছে বন্ধ। রংপো থেকে মেল্লি পর্যন্ত রুট আপাতত চালু থাকায় দক্ষিণ সিকিমে পৌঁছনো যাচ্ছে সেই পথে। লাভা-সিকিম, লাভা-কালিম্পং ও লাভা-শিলিগুড়ি (গরুবাথান হয়ে) রাস্তা খোলা। তবে লাভা থেকে লোলেগাঁও ও রেশি হয়ে সিকিম যাওয়ার রাস্তাগুলি বন্ধ রয়েছে।এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে যাত্রা করার আগে আবহাওয়া এবং রাস্তার অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে বেরনোর পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। পাহাড়ে যানবাহনের গতি সীমিত রাখা, ভারী বৃষ্টি হলে গাড়ি না চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে ট্রাফিক পুলিশের তরফে।