দুর্গাপুজোর প্রথমার থেকেই শুরু হয়ে যায় নবরাত্রি উৎসব, চলে দশেরা অর্থাৎ দশমী পর্যন্ত। নবরাত্রির এই ৯ দিনে দেবী দুর্গার ৯ রূপের মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানুন বিস্তারিত।শৈলপুত্রী: নবরাত্রির প্রথম দিন অর্থাৎ প্রতিপদ তিথিতে শৈলপুত্রী রূপে হন মা দুর্গা। মাতা সতীর পুনর্জন্মের রূপ হিসাবে ধরা হয় এই রূপকে। এই দেবীর ডান হাতে থাকে ত্রিশূল, বাম হাতে থাকে পদ্ম। দেবাদিদেব মহাদেবের মতো মাথায় থাকে অর্ধচন্দ্র। শৈলপুত্রীকে সঙ্গ দেন স্বয়ং নন্দী।ব্রহ্মচারীণী: নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে মা দুর্গা পুজিত হন দেবী দুর্গা রূপে। এই দেবীকে শান্তি, সিদ্ধি এবং মোক্ষের দেবী বলে মনে করা হয়। এই দেবীর এক হাতে থাকে কমন্ডল এবং অন্য হাতে থাকে জপ মালা।চন্দ্রঘন্টা: নবরাত্রির তৃতীয় দিনে চন্দ্র ঘন্টার রূপে দেবীর পুজো করা হয়। এই দেবী সাহসের প্রতীক বলে মনে করা হয়।কুষমুন্ডা: চতুর্থ দিনে মা দুর্গাকে পুজো করা হয় কুষমুন্ডা রূপে। এই দেবীর আট হাত থাকে বলে এই দেবীকে বলা হয় অষ্ট সিদ্ধিধাত্রী। সিংহের ওপর আসীন হন এই দেবী।স্কন্দমাতা: পঞ্চমী তিথিতে স্কন্দমাতা রূপে পুজিত হন এই দেবী। অনেকেই জানেন না হয়তো এই দেবীকে কার্তিকের জননী বলা হয়। এই চতুর্ভূজা দেবী সিংহের ওপর বসে থাকেন।কাত্যায়নী: ষষ্ঠীর দিন দেবীকে পুজো করা কাত্যায়নী রূপে। এই রূপেই কিন্তু দেবী দুর্গা অসুরকে বধ করেছিলেন।কালরাত্রি: সপ্তমী তিথিতে কালরাত্রি রূপে মা দুর্গাকে পুজো করা হয়। এই রূপ যেমন একাধারে হিংস্র অন্যদিকে এই ভীষণ ভয়ঙ্কর। এই রূপেই মহিষাসুরের দুই সহচর শম্ভু-নিশম্ভুকে হত্যা করেছিলেন দেবী দুর্গা।মহাগৌরী: মহা অষ্টমীর দিন মা দুর্গা পুজো করা হয় মহাগৌরী রূপে। এই দেবীকে বুদ্ধিমত্তা এবং শান্তির রূপ বলে মনে করা হয়।সিদ্ধিদাত্রী: নবমী তিথিতে মা দুর্গাকে সিদ্ধীধাত্রী রূপে পুজো করা হয়। সিংহ বাহিনী এই দেবী হলেন চতুর্ভূজা। দেবীকে সিদ্ধি, সফলতা এবং পরিপূর্ণতার রূপ বলে মনে করা হয়।