কর্মফলদাতা ও আয়ু প্রদানকারী গ্রহ শনি আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে গোচর করবেন। ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ পর্যন্ত এই নক্ষত্রে উপস্থিত থাকবেন শনি। জ্যোতিষে শনিকে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। নবগ্রহের মধ্যে শনিকে ন্যায়দণ্ডাধিকারীর আসনে বসিয়েছেন মহাদেব। এ কারণে শনিকে দণ্ডাধিকারীও বলা হয়।
শনির নক্ষত্র পরিবর্তন ১২ রাশির উপর প্রভাব বিস্তার করে। তবে যে জাতকের জন্ম ধনিষ্ঠা নক্ষত্রে হয়েছে, তাঁদের এ সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। বর্তমানে শনি মকর রাশিতে বিরাজ করছেন। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে পঞ্চগ্রহী যোগ সৃষ্টি হবে। অর্থাৎ মকর রাশিতে এক সঙ্গে পাঁচটি গ্রহ উপস্থিত থাকবে।
কাদের শনির নক্ষত্র পরিবর্তনের ফলে সতর্ক থাকতে হবে?
ধনিষ্ঠা কুম্ভ ও মকরকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করে। এ কারণে মকর ও কুম্ভ রাশির জাতকদের সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। এই নক্ষত্রের গ্রহ অধিপতি মঙ্গল ও দেবতা বসু। শনির নক্ষত্র পরিবর্তন মিথুন ও ধনু রাশির জাতকদের সমস্যা বৃদ্ধি করবে। এই রাশির জাতকদের নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তা না হলে গভীর কোনও সমস্যায় জড়িয়ে পড়তে পারেন। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও জরুরি।
শনির শুভ প্রভাব বৃদ্ধির উপায়
সূর্যাস্তের পর শনির আরাধনা করা অধিক ফলদায়ী। তাই সূর্যাস্তের পরই শনির পুজো ও উপায় করা উচিত।
১. শনিবার সন্ধ্যাবেলা অশ্বত্থ গাছে জল অর্পণ করুন। এরপর শনির ধ্যান করে সরষের তেলের প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করুন। সম্ভব হলে শনির মন্ত্র জপ করা উচিত।
২. এক বাটি সরষের তেলে নিজের ছবি দেখে সেই তেল কোনও অসহায় ব্যক্তিকে দান করে দিন। এছাড়াও এই তেল দিয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করেও শনি মন্দিরে রাখতে পারেন।
৩. সূর্যাস্তের পর কুষ্ঠ রোগীদের কালো রঙের পেয় পদার্থ পান করান। সম্ভব হলে কালো রঙের বস্ত্র দান করুন। বিশেষত শীতকালে কালো রঙের গরম কাপড় দান করা শ্রেষ্ঠ।
৪. সাত ধরনের অন্ন নিন। নিজের মাথা থেকে এই অন্ন সাত বার ঘুরিয়ে, চার মাথা মোড়ে পাখিদের খাইয়ে দিন। সম্ভব হলে প্রতিদিন করুন। তা না-হলে প্রতি শনিবার এই উপায় করবেন।