কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষে আকাশে বাতাসে হেমন্তের গন্ধ মেখে আসে জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়কাল। দুর্গাপুজোর সময়ের মতো কাশফুল, কিম্বা শিউলি সেভাবে জানান দেয়না, তবে হেমন্তের হালকা রোদ, হিমেল পরশ জানান দেয়, জগদ্ধাত্রী দেবীর আগমন। দুর্গাপুজোর দশমীর দিন কাঠামো পুজো দিয়ে দেবীর আবাহনে মেতে ওঠে বাঙালি। মেতে উঠেছে নদিয়ায়ও। নদিয়ার কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় আলাদা আকর্ষণ ‘বুড়িমা’। দেখা যাক, এই পুজোর সময়-তিথি।
কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজোর তারিখ-তিথি:-
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মূলত ৪ দিন ধরে হয়। তবে কৃষ্ণনগরের মূল পুজোয় দেখা যায় একদিনে পুজোর রীতি। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহরের এই জগদ্ধাত্রী ‘বুড়িমা’র পুজো ঘিরে নামে ভক্তের ঢল। দেখে নেওয়া যাক, বুড়িমার পুজোর নির্ঘণ্ট।
মঙ্গল ঘটে জল ভরা দিয়ে শুরু হয় দেবীর পুজোর প্রস্তুতি।
১০ নভেম্বর, রবিবার সপ্তমী পুজো হবে ভোর ৫ টা ৫০ মিনিটে।
১০ নভেম্বর, রবিবার সকাল ৯.৩০ মিনিটে হবে অঞ্জলি।
১০ নভেম্বর, রবিবার সকাল ১০.৩০ মিনিটে অষ্টমী পুজো।
১০ নভেম্বর, রবিবার বেলা ১২ টায় অষ্টমীর অঞ্জলি হবে।
১০ নভেম্বর, রবিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটে নবমী পুজো।
১০ নভেম্বর, রবিবার দুপুর ৩ টে নাগাদ হবে বলিদান।
১০ নভেম্বর, রবিবার ৩.৩০ মিনিট নাগাদ হবে নবমীর অঞ্জলী, এটি বলিদান পর্বের পরে হবে। তারপর হবে পুজোর আরতি হোম।
সন্ধ্যা আরতির সময়:-
কৃষ্ণনগরের বুড়িমার পুজোয় সন্ধ্যা আরতির সময় ১০ নভেম্বর, রবিবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ। রাত ১০ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত ভোগ প্রসাদ বিতরণ রয়েছে। পুজো অগ্রিম নেওয়া শুরু হবে ৯ নভেম্বর শনিবার থেকে।
দশমীর নির্ঘণ্ট:
সোমবার দশমীর দিন, ১১ নভেম্বর দেবীকে সকাল ৮ টা ৩৬ মিনিটে শুরু হবে দশমীর পুজো। ঢাকের তালে তখন বিদায়ের সুর। আর মনে মনে ‘আসছে বছর আবার হবে’র বোল! দুপুর ৩ টে ২৮ মিনিট থেকে বুড়িমাকে আসন থেকে সরানো হবে।
বুড়িমার বিসর্জনের নিয়ম:-
কৃষ্ণনগরে সব ঠাকুরের ভাসানের পর বুড়িমার বিসর্জন হয়। তাঁকে রাজবাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর দেবীকে কাঁধে করে নিয়ে যাওয়া হয় নদীতে। বিপুল ভক্তের ভিড়ের মাঝে ধ্বনি ওঠে,'আসছে বছর আবার হবে'।