গণেশ যন্ত্রম হল একটি পবিত্র জ্যামিতিক নকশা যা ভগবান গণেশকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি বাড়িতে বা কর্মস্থলে স্থাপন করা হলে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র এবং তন্ত্রশাস্ত্রে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
গণেশ যন্ত্রম স্থাপনের প্রধান লাভ
বাধা দূরীকরণ: গণেশকে বিঘ্নহর্তা বলা হয়। গণেশ যন্ত্রম স্থাপন করলে জীবনের সমস্ত বাধা দূর হয় এবং কোনো কাজ শুরু করলে তা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
আর্থিক সমৃদ্ধি: এই যন্ত্রমটি ধন-সম্পদ ও সমৃদ্ধি আকর্ষণ করে। এটি ব্যবসা ও কর্মজীবনে সাফল্য নিয়ে আসে এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যন্ত্রমটি বাড়িতে বা কর্মস্থলে স্থাপন করা হলে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। বাস্তুশাস্ত্র এবং তন্ত্রশাস্ত্রে এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
আরও পড়ুন - বিঘ্নহর্তার আশীর্বাদে নাশ হবে শত্রু! গণেশ চতুর্থীতে পাঠ করুন এই মন্ত্র
ইতিবাচক শক্তি: গণেশ যন্ত্রম স্থাপন করলে বাড়ির বা অফিসের পরিবেশে ইতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এটি নেতিবাচক শক্তি ও অশুভ প্রভাব দূর করে।
জ্ঞান ও প্রজ্ঞা: এই যন্ত্রমটি জ্ঞান ও প্রজ্ঞা বৃদ্ধি করে। যারা ছাত্র বা কোনো নতুন জ্ঞান অর্জন করতে চান, তাদের জন্য এটি বিশেষভাবে উপকারী।
সুখ ও শান্তি: এটি পরিবারে শান্তি ও সম্প্রীতি নিয়ে আসে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয় এবং মানসিক শান্তি বজায় থাকে।
কোথায় এবং কীভাবে স্থাপন করবেন?
স্থান: গণেশ যন্ত্রম সবসময় পরিষ্কার এবং পবিত্র স্থানে স্থাপন করা উচিত। আপনার পূজা ঘর, বাড়ির বা অফিসের প্রবেশদ্বার বা উত্তর-পূর্ব কোণে এটি স্থাপন করা সবচেয়ে ভালো।
সঠিক দিক: এটি স্থাপন করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে এর মুখ যেন উত্তর বা পূর্ব দিকে থাকে।
আরও পড়ুন - দুর্গাপুজোর আগে ঠাকুরের আসনে রাখুন এই শুভ বস্তু, দূর হবে অভাব! হাসি ফুটবে মুখে
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত যন্ত্রমটি পরিষ্কার রাখা উচিত। এটিতে ধুলো জমতে দেওয়া উচিত নয়।
পাঠকদের প্রতি: প্রতিবেদনটি প্রচলিত বিশ্বাসের ভিত্তিতে লেখা হয়েছে। এখানে লেখা সব কথা আগামী দিনে সত্য প্রমাণিত হবে, এমন দাবি করা হচ্ছে না। ধর্ম সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন বা কোনও সমস্যার সমাধানের জন্য পেশাদার ব্যক্তি যেমন পুরোহিত বা পুরাণ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।