দুর্গাপুজোর একটি প্রধান অংশ হল কুমারী পুজো। প্রাচীনকাল থেকেই কুমারী পুজোর প্রথা প্রচলিত রয়েছে। কিন্তু মা দুর্গা হলেন সধবা নারী। তাঁর পুজোর সময় কেন কুমারী পুজো করা হয়? কোন বিধান থেকে এই পুজোর শুরু? শাস্ত্রমতে, কুমারী পুজোর নেপথ্যে রয়েছে একাধিক কারণ। তবে প্রথমে জেনে নেওয়া যাক মায়ের কুমারী রূপের কথা। যে রূপ ধারণ করে সারা বিশ্ব মূর্তিমান সংকটের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন দেবী দুর্গা।
পুরাণে কুমারী পুজো
পুরাণে বর্ণিত কাহিনি অনুসারে, প্রাচীনকালে বানাসুর নামক এক অসুর স্বর্গ ও মর্ত্য অধিকার করে দেব-দেবী ও মানুষের উপর প্রবল অত্যাচার শুরু করেছিল। দেবতারা তখন সেই অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মহাকালীর শরণাপন্ন হন। দেবী দেবগণের আবেদনে সাড়া দিয়ে কুমারীরূপে আবির্ভূত হন। কুমারী মহাকালীর হাতে বধ হয় বানাসুর। বানাসুরকে বধ করে মা বিশ্বকে রক্ষা করেন। সেই থেকে মর্ত্যে কুমারী পুজোর প্রচলন হয় বলে প্রচলিত বিশ্বাস।
আরও পড়ুন - পঞ্চমীতে খেলা দেখাবেন সূর্য! ৪ রাশির কপাল সোনার মতো চমকাবে, প্রেমেও সুখবর
আরও পড়ুন - বিপরীত চাল বুধের! ৪ রাশির টাকার টান কাটাবেন রাজকুমার, প্রেমজীবনেও সুখের জোয়ার
সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়
প্রচলিত বিশ্বাস এই যে, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে যে ত্রিবিধ শক্তি (সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়) রয়েছে, তার বীজ কুমারী বা নারীশক্তির মধ্যে নিহিত। কুমারী হল প্রকৃতির প্রতীক এবং নারীজাতির বীজাবস্থা। তাই একজন কুমারীকে দেবী রূপে পুজো করে এই শক্তিকে সম্মান জানানো হয়।কুমারী মেয়ের মধ্যে দেবীভাবের প্রকাশ অনেক বেশি বলে মনে করেন মুনি ঋষিরা। অন্যদিকে পবিত্রতার প্রতীক হিসেবেও তারা বিবেচিত হত আদিকালে। এই কারণে দেবীমাতৃকার আরাধনার সময় কুমারী পুজোর চল রয়েছে।