মা গঙ্গাকে সনাতন ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র মনে করা হয়। প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে গঙ্গা দশেরার উৎসব অত্যন্ত উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে এই দিনে মা গঙ্গা পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন। গঙ্গা দশেরার দিনে গঙ্গা নদীতে স্নান করলে সাত জন্মের পাপ কেটে যায় এবং জীবনের সমস্যাও দূর হয়।হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, গঙ্গা দশেরার উত্সব এই বছরের ৩০ মে পালিত হবে। এই দিনে দান করাকেও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আপনি যদি গঙ্গা নদীতে স্নান করতে অক্ষম হন তবে আপনার বাড়িতে স্নান করার সময় আপনাকে অবশ্যই গঙ্গার জল ঢালতে হবে স্নানের জলে। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের বলব গঙ্গা জল সংক্রান্ত কিছু নিয়ম, সেগুলো মেনে চললে জীবনে আর কোনও সমস্যা হবে না।অযোধ্যার বিখ্যাত জ্যোতিষী পণ্ডিত কল্কি রাম বলেছেন যে গঙ্গাজলকে সনাতন ধর্মে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। যখন কোনও শুভ কাজ হয়, তাতে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। গঙ্গাজল রাখার সময়ও বিশেষ কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।• ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, ঘুমের জায়গায় গঙ্গাজল রাখা উচিত নয়। শুধু তাই নয়, রান্নাঘরের কাছেও রাখা উচিত নয়। গঙ্গা জলকে কোনও অন্ধকার জায়গায় রাখা এড়িয়ে চলুন। এতে করে গঙ্গার জলের পবিত্রতা শেষ হতে থাকে।• বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, গঙ্গাজলকে পবিত্র স্থানে অর্থাৎ উপাসনাস্থলে রাখা উচিত। এটা করলে গঙ্গার জলের বিশুদ্ধতা বজায় থাকবে।• নোংরা হাতে অপবিত্র অবস্থায় গঙ্গাজলকে কখনই স্পর্শ করা উচিত নয়। এটা করলে ঘরে নেতিবাচকতা বাড়বে। তাই গঙ্গার জল স্পর্শ করার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।• সূর্য ও চন্দ্রগ্রহণের সময় ভুল করেও গঙ্গার জল স্পর্শ করা উচিত নয়। গ্রহন শেষ হলে গঙ্গাজল ছিটিয়ে ঘর পবিত্র করতে হবে।