মানুষ নানা জীবিকার মাধ্যম অর্থ উপার্জন করে থাকেন। অর্থ উপার্জনের নানা পদ্ধতি রয়েছে। একেকজনের জীবিকা একেকরকম হয়ে থাকে। তবে কেউ সৎ পথে অর্থ উপার্জন করেন। কেউ অসৎ পথে তা উপার্জন করেন। চাণক্য বলছেন, তিনটি বিশেষ উপায়ে অর্জিত অর্থের কথা। তাঁর মতে, এই তিন ধরনের উপার্জন কোনও ব্যক্তি আজীবন ধরে রাখতে পারেন না। কোনও না কোনও সময় তাঁকে নিঃস্ব হয়ে যেতে হয়।
কোন তিন ধরনের উপার্জন?
১. অন্যায় বা অনৈতিক পথে উপার্জন: যে অর্থ চুরি, দুর্নীতি, প্রতারণা বা অন্য কোনো অনৈতিক কাজ করে উপার্জন করা হয়, তা কখনোই স্থায়ী হয় না। এই ধরনের অর্থ দ্রুত ধ্বংস হয়ে যায় এবং এর সঙ্গে অভিশাপ লেগে থাকে।
আরও পড়ুন - ঘরে চটি পরে ঘোরেন? বাস্তুমতে অসন্তুষ্ট হন এই দেবতা, অর্থকষ্টে ভুগতে হয় আজীবন
২. লোভ থেকে উপার্জিত অর্থ: লোভের বশবর্তী হয়ে উপার্জিত অর্থ মানুষকে আরও লোভী করে তোলে। এই ধরনের অর্থ দিয়ে মানুষ যা কিছু কেনে, তাতে কখনোই শান্তি বা সুখ আসে না। অতিরিক্ত লোভের কারণে এই অর্থ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
৩. অহংকার বা দম্ভ থেকে উপার্জিত অর্থ: যে ব্যক্তি শুধু নিজেকে বড় প্রমাণ করার জন্য বা অন্যদের ছোট করার উদ্দেশ্যে অর্থ উপার্জন করে, সেই অর্থও বেশিদিন তার কাছে থাকে না। অহংকার মানুষকে ভুল পথে পরিচালিত করে এবং এর ফলস্বরূপ উপার্জিত অর্থও নষ্ট হয়ে যায়।
আরও পড়ুন - ছোট্ট কাঁচিই সংসারে ডেকে আনতে পারে আমূল সর্বনাশ! বাস্তুমতে কীভাবে রাখা উচিত এটি?
কী মত চাণক্যের?
চাণক্যের মতে, সৎ পথে, পরিশ্রমের মাধ্যমে এবং সঠিক উদ্দেশ্য নিয়ে উপার্জন করা অর্থই কেবল মানুষের জীবনে সমৃদ্ধি ও শান্তি নিয়ে আসতে পারে। অন্যায়, লোভ বা অহংকার থেকে উপার্জিত অর্থ কেবল ক্ষণিকের আনন্দ দেয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে দুঃখ ও কষ্ট নিয়ে আসে।