নাগপুরে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম টেস্টের আগে বারবার ঘুরে ফিরে আলোচনায় উঠে আসছে প্রায় দু'দশক আগের অপ্রীতিকর একটি প্রসঙ্গ। ২০০৪ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়া নাগপুর টেস্টের পিচ নিয়ে যে বিতর্ক দেখা দেয়, নতুন করে তার স্মৃতি খুঁচিয়ে তুললেন তৎকালীন পিচ কিউরেটর কিশোর প্রধান।
সেবার নাগপুরের গ্রিনটপ পিচে ভারতকে হারিয়ে টেস্ট সিরিজ জয় নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ভারত সফরে সেটিই অস্ট্রেলিয়ার শেষ টেস্ট সিরিজ জয়।
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট চেয়েছিল ঘূর্ণি পিচ। সম্পূর্ণ ভিন্ন বাইশগজ হাতে পাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ ছিলেন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। কিশোর প্রধান এক্ষেত্রে ইঙ্গিতবহ মন্তব্য করেন সৌরভকে নিয়ে। সবুজ পিচ দেখে ভয়েই নাকি মহারাজ সেই ম্যাচে মাঠে নামেননি। চোটের ভান করে ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়ান।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে প্রধান বলেন, ‘সৌরভ বাইশগজ দেখে ভাবে আমি বুঝি নিজের পছন্দ মতো পিচ তৈরি করেছি। ও আমাকে ডেকে বোঝাতে থাকে দু’দলের শক্তি-দুর্বলতা। তার পরে ও বিদর্ভ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন সভাপতি শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে দেখা করে। আমি ওকে জানিয়েছিলাম, ভিসিএ প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করেই আমি এমন পিচ তৈরি করেছি। আমি বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে, আমরা ম্যাচের জন্য এমন পিচ তৈরি করেছি এবং এখানেই তোমাদের খেলতে হবে। শেষে সৌরভ চোট নিয়ে ছিটকে যায় ম্যাচ থেকে।'
উল্লখ্য, ২০০৪ সালের সেই সিরিজের প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হয় বেঙ্গালুরুতে। অস্ট্রেলিয়া ২১৭ রানের বড় ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। চেন্নাইয়ের দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হয়। নাগপুরের তৃতীয় টেস্টে ৩৪২ রানের বিশাল ব্যবধানে ভারতকে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। মুম্বইয়ের চতুর্থ টেস্টে ভারত জয় তুলে নেয় ১৩ রানের ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে দেশে ফেরে।
কাকতলীয় বিষয় হল, এবারও নাগপুরের বাইশগজে পর্যাপ্ত ঘাস রয়েছে। যদিও মনে করা হচ্ছে টেস্ট শুরুর আগে ঘাস ছেঁটে ফেলা হবে এবং বাইশগজে স্পিনাররা সাহায্য পাবেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক http://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।