ওল্ড ট্রাফোর্ডে এদিন ম্যাচটি শুরু থেকে ছিল আক্রমণ এবং পাল্টা আক্রমণে ভরপুর। ১৭ মিনিটে হেডে আসাধরাণ গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন রাসমাস হয়লুন। তবে ২৩ মিনিটেই সমতা ফেরান গালাতাসারের উইলফ্রেড জাহা। বিরতিতে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। দ্বিতীয়ার্ধে ফের শুরু হয় হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ৬৭ মিনিটে ফের গোল করে ম্যান ইউনাইটেডকে এগিয়ে দেন রাসমাস।তবে এবারও লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি ইউনাইটেড। চার মিনিট পরেই সমতা ফেরান মহম্মদ করিম আকতুরকোগলু। ৭৭ মিনিটে লালকার্ড দেখেন ক্যাসেমিরো। ফলে বাকি সময়টা ১০ জনে খেলতে হয় এরিক টেন হ্যাগের দলকে। এই সুযোগে আক্রমণ বাড়ায় গালতাসারে। ৮১তম মিনিটে গালাতাসারের হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন মাউরো ইকার্ডি। এই নিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে বসে থাকল ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। যার ফলে এরিক টেন হ্যাগের দলের পক্ষে গ্রুপ টপকানো কঠিন হয়ে গেল।
আর্সেনাম বনাম লেন্স
উত্তর ফ্রান্সের দল লেন্সের কাছে মুখ থুবড়ে পড়ল শক্তিশালী আর্সেনাল।অপেক্ষাকৃত দুর্বল লেন্স ২-১ ব্যবধানে হারায় আর্সেনালকে। এটাই মরশুমের প্রথম পরাজয় আর্সেনালের। তবে ম্যাচের একেবারে শুরুতে গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর্সেনালকে একটি আদর্শ সূচনা দিয়েছিলেন। তিনি ১৪তম মিনিটেই এগিয়ে দেন দলকে। তবে জেসুসের গোলের ১১ মিনিটের মধ্যেই লেন্সের আদ্রিয়ান থমসন সমতা ফেরান। অদ্ভূত ভাবে পিছিয়ে পড়ার পরে বিরতির আগেই ম্যাচের ৩৪ মিনিটের মাথায় বুকায়ো সাকাকে তুলে নেয় আর্সেনাল। নামানো হয় মিডফিল্ডার ফ্যাবিয়ো ভিয়েরাকে। তবে তাতেও ভাগ্যের চাকা ঘোরেনি আর্সেনালের। বরং রক্ষণাত্মক মানসিকতা নিয়ে খেলতে গিয়ে আরও একটি গোল হজম করে তারা।
বিরতিতে খেলার ফল ছিল ১-১। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর্সেনাল আহামরি প্রভাব ফেলতে পারেনি। বরং ম্যাচের ৬৯ মিনিটের মাথায় ২০ বছরের স্ট্রাইকার এলি ওয়াহির গোলে লেন্স ২-১ করে ফেলেন। এর পর আর গোলশোধ করতে পারেনি আর্সেনাল। এই জয়ের হাত ধরে আর্সেনাল টপকে লেন্স চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ বি-র শীর্ষে উঠে এল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।