অভিষেকেই সকলের নজর কাড়লেন বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটার জাকির হাসান। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক হয়ে জাকিরের। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের দেওয়া পাহাড় সমান লক্ষ্যের সামনে দাঁড়িয়েও ঠাণ্ডা মাথায় দলের হাল ধরেন ২৪ বছরের বাঁ-হাতি ব্যাটার। ওপেন করতে নেমে করেন দুরন্ত শতরান। ২১৯ বল খেলে জাকির সেঞ্চুরি হাঁকান। সেই সঙ্গে ইতিহাস লিখে ফেলেন বাংলাদেশের তরুণ তুর্কি।
প্রথম বাংলাদেশি ওপেনার হিসেবে অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন জাকির হাসান। এর আগে অভিষেক টেস্টে ওপেন করতে নেমে বাংলাদেশের জাভেদ ওমর অপরাজিত ৮৫ করেছিলেন। এটাই ছিল এত দিন সর্বোচ্চ স্কোর। জাভেদ ওমর ২০০১ সালে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে এই স্কোর করেছিলেন। আর ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তামিম ইকবাল ৮৪ রান করেছিলেন। তবে শনিবার জাকির হাসান সকলকে ছাপিয়ে নতুন নজির গড়লেন।
আরও পড়ুন: জাকিরের সেঞ্চুরি, টেস্ট জিততে শেষ দিনে ভারতের দরকার ৪ উইকেট
সেই সঙ্গে চতুর্থ বাংলাদেশি হিসেবেও অভিষেক টেস্টেই শতরানের নজির গড়লেন তিনি। অভিষেকে প্রথম এই কীর্তি গড়েন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। এর পরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রেকর্ড গড়া সেঞ্চুরি করেন মহম্মদ আশরাফুল। তৃতীয় জন হলেন আবুল হাসান।
পাশাপাশি অভিষেক টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে সর্বোচ্চ রানের হিসেবে জাকির রয়েছেন ষষ্ঠ স্থানে। তাঁর চেয়ে বেশি রান রয়েছে আমিনুল ইসলাম (১৫১), জাভেদ ওমর (১৪৭), মহম্মদ আশরাফুল (১৪০), তামিম ইকবাল (১৩৭) ও আবুল হাসানের (১২০)। জাকিরের রান ১২০।
এ ছাড়া চতুর্থ ইনিংসে মাত্র দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করে কীর্তি গড়লেন জাকির। এর আগে এই নজির ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের লেন বাইচানের। ১৯৭৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোর টেস্টে তিনি অপরাজিত থাকেন ১০৫ রানে।
আরও পড়ুন: শরীর ছুঁড়ে কোহলির হাত থেকে ছিটকে যাওয়া বল ধরলেন পন্ত, দেখুন দুরন্ত ক্যাচ
তবে সেঞ্চুরি হাঁকানোর ঠিক পরেই সাজঘরে ফিরে যান জাকির। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে স্লিপে তাঁর ক্যাচ ধরেন বিরাট কোহলি। ২২৪ বলে ১৩টি চার এবং ১টি ছক্কার সৌজন্য পুরো ১০০ রান করেন জাকির।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর, দ্বিতীয় ইনিংসে বিশাল মাপের টার্গেট তাড়া করতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত এবং জাকির মিলে দলের হাল ধরেছিলেন শুরুতেই। ওপেনিং জুটিতে ১২৪ রান যোগ করেন তাঁরা। তবে এর পরেই ছন্দপতন। উমেশ যাদবের বলে খোঁচা মেরে ঋষভ পন্তের হাতে ক্যাচ গিয়ে সাজঘরে ফেরেন শান্ত। তিনি ৬৭ রান করে আউট হন। এর পর অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ইয়াসির আলি (৫)।
এ ছাড়াও লিটন দাস (১৯), মুশফিকুর রহিম (২৩), নুরুল হাসানরা (৩) ভরসা জোগাতে পারেননি। শান্তর ৬৭ এবং জাকিরের ১০০ রানই বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে বড় অক্সিজেন। চতুর্থ দিনের শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭২ রান। ভারতের অক্ষর প্যাটেল ৩ উইকেট নিয়েছেন।
বাংলাদেশ এখনও ২৪১ রানে পিছিয়ে রয়েছে। ক্রিজে রয়েছেন শাকিব আল হাসান (৪০) এবং মেহেদি হাসান মিরাজ (৯)। হাতে তাদের ৪ উইকেট রয়েছে। ২৪১ রান করার জন্য একটা গোটা দিন যেমন যথেষ্ট, তেমনই চার উইকেট ফেলার জন্যও রয়েছে অনেকটা সময়। ভারত কি পারবে বাংলাদেশকে দ্রুত অলআউট করে ম্য়াচ জিততে?
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।