বাংলাদেশের নাগরিক সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এখন জানা গেল সে পাকিস্তান দেশের নাগরিক। বিরাটির এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গিয়েছে। ধৃতের নাম আজাদ মল্লিক। নাম ও পরিচয় ভাঁড়িয়ে ভারতে জাল পাসপোর্টের ব্যবসা ফেঁদে বসেছিল এই আজাদ মল্লিক। এই দাবি করেছে খোদ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই আজাদের বাড়ি থেকে পাকিস্তানের ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখন সে দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত নাকি সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে যুক্ত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে পাসপোর্ট জালিয়াতি চক্রে এবার আজাদ মল্লিকের নাম জড়িয়ে যাওয়ায় সে পাকিস্তানের সঙ্গে কেমন যোগাযোগ রেখেছিল সেটা বড় হয়ে দেখা দিয়েছে। খাস কলকাতায় বসে জাল পাসপোর্ট চক্র চালিয়ে যাচ্ছিল আজাদ মল্লিক বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের পরিচয় ঢাকতেই এই আজাদ মল্লিক বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয় দিয়েছিল তদন্তকারীদের কাছে। কিন্তু তদন্তে নেমে আসল তথ্য পেয়েই গেল ইডি। ফাঁস হয়ে গেল সত্যিকারের পরিচয়। আসলে আজাদ পাকিস্তানেরই নাগরিক। পাসপোর্ট মামলায় আদালতে আজ বিস্ফোরক দাবি করল ইডি।
আরও পড়ুন: মহাযজ্ঞে পূর্ণাহুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে উড়ল ধ্বজা, করলেন আরতি
অন্যদিকে বিরাটি বাঁকড়া এলাকায় পরিচয় লুকিয়ে থাকছিল আজাদ মল্লিক। জাল পাসপোর্ট কাণ্ডে আজাদকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। আজাদ জাল পাসপোর্ট তৈরি করে এদেশে এসেছিল বলে অভিযোগ। সুতরাং তার পথটা জানাই ছিল। আর এই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে মোটা টাকা আয় করত আজাদ। বিনিময়ে ভুয়ো পাসপোর্ট তৈরি করে দিত। সেটার তদন্ত শুরু করতেই চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পায় ইডি। আদালতে ইডি জানাল, ধৃত আজাদ মল্লিক পাকিস্তানের নাগরিক। পাকিস্তানের পরিচয় গোপন করে নিজেকে বাংলাদেশের নাগরিক বলত। যে ড্রাইভিং লাইসেন্স মিলেছে সেখানে নাম ছিল আজাদ হোসেন।
তাছাড়া ইডির দাবি, আজাদের আসল নাম আহমেদ হোসেন আজাদ ওরফে আজাদ হোসেন। পৃথক তথ্য দিয়ে দুটো ভোটার কার্ড, দুটো আধার কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি করেছিল আজাদ। পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের ড্রাইভিং লাইসেন্সের পাশাপাশি ভারতের ড্রাইভিং লাইসেন্সও ছিল আজাদের কাছে। বিদেশে পাড়ি দিতে ভিসার আবেদনও করেছিল আজাদ। এই আজাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ২ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা মিলেছে। ২০২২ সালে ফরেনার্স অ্যাক্টে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আজাদ। পরে জামিন পেয়ে বাংলাদেশও গিয়েছিল আজাদ। এবার বিরাটি থেকে দু’সপ্তাহ আগে গ্রেফতার করা হয় আজাদ মল্লিককে। বাংলা ভাষায় চোস্ত আজাদ। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে যারা ঢুকত তাদের পাসপোর্ট বানিয়ে দিত আজাদ। আজ আদালতে বিচারকের সামনে এমন সব নয়া দাবি করেন ইডির আইনজীবী ভাস্করপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়।