
Betvisa
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports
এলেন-দেখলেন-জয় করলেন বলা যায়। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়ান গেমসের ফাইনালে বাংলার তিতাস বল হাতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে না উঠলে ভারতের পক্ষে সোনা জেতা সম্ভব হতো না। কেননা ভারতের হাতে পুঁজি ছিল নিতান্ত কম। তার উপর শ্রীলঙ্কার ক্যাপ্টেন শুরুতেই চার-ছক্কা হাঁকিয়ে ঝড় তোলার ইঙ্গিত দেন।
তিতাসের প্রথম ২টি ওভারই ম্যাচের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দিয়ে যায়। নিজের প্রথম ওভারে কোনও রান না দিয়ে ২টি উইকেট তুলে নেন তিতাস। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে শ্রীলঙ্কার সেরা তারকা চামারি আতাপাত্তুর উইকেট তুলে নেন তিনি। সেই সুবাদে ম্যাচের রাশ ভারতের হাতে এনে দেন দিন কয়েক পরেই ১৯ বছরে পা দিতে চলা বাংলার ডানহাতি পেসার।
সুতরাং, তিতাস নিজের প্রথম ২ ওভারেই ম্যাচের রং বদলে দেন বললে মোটেও ভুল বলা হয় না। সেই সঙ্গে ডাবল উইকেট-মেডেন ওভারে তিনি গড়ে ফেলেন এমন এক নজির, যা ভারতের আর কোনও বোলারের নেই। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়েই প্রতিনিধিত্ব করা দীপ্তি শর্মা মাঠে উপস্থিত থেকে দেখলেন, কীভাবে তার রেকর্ড ভেঙে খানখান করলেন তিতাস।
এশিয়ান গেমসের ফাইনালে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করেত নামে ভারত। যদিও বড় রানের ইনিংস গড়তে ব্যর্থ হন হরমনপ্রীত কৌররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত ৭ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ১১৬ রান সংগ্রহ করে। স্মৃতি মন্ধনা (৪৬) ও জেমিমা রডরিগেজ (৪২) ছাড়া ভারতের আর কোনও ব্যাটারই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। সুতরাং, জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে ১১৭ রানের ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দেয় টিম ইন্ডিয়া।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা প্রথম ওভারেই ১২ রান তুলে নেয়। দীপ্তি শর্মার বলে ১টি ছক্কা ও ১টি চার মারেন চামারি আতাপাত্তু। শুরুতেই শ্রীলঙ্কার এমন আক্রমণ ভারতীয় শিবিরকে বিচলিত করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। কেননা আতাপাত্তু ছন্দে থাকলে যে একার হাতে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন, সেটা ভালো মতোই বোঝেন কৌররা।
হরমনপ্রীত ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই বোলিং আক্রমণে নিয়ে আসেন তিতাস সাধুকে। প্রথম বলেই তিতাস সাজঘরে ফেরান অনুষ্কা সঞ্জীবনীকে। ২.১ ওভারে তিতাসের বলে হরমনপ্রীতের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন শ্রীলঙ্কার ওপেনার। সেই ওভারের চতুর্থ বলে গুণরত্নেকে বোল্ড করেন তিতাস। নিজের প্রথম ওভারে কোনও রান খরচ না করেই ২টি উইকেট তুলে নেন সাধু।
পরে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে পুনরায় বল করতে এসে ভারতের ভয়ের কারণ আতাপাত্তুর উইকেট তুলে নেন তিতাস। ৪.২ ওভারে সাধুর বলে দীপ্তির হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়েন চামারি। সেই ওভারে নীলাক্ষীর উইকেটটিও তুলে নিতে পারতেন সাধু। তবে আমনজ্যোৎ ক্যাচ মিস করায় তা সম্ভব হয়নি। শেষমেশ তিতাস ৪ ওভারে ১টি মেডেন-সহ মাত্র ৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৭ রানে আটকে যায়। ১৯ রানে ম্যাচ জিতে সোনার পদর গলায় ঝোলান হরমনপ্রীতরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই প্রথম ভারতের কোন বোলার কোনও আন্তর্জাতিক টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে ডাবল উইকেট-মেডেন নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করলেন। গতবছর দীপ্তি শর্মা শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনালে সিঙ্গেল উইকেট-মেডেন নিয়েছিলেন। এদিন তিতাস টপকে গেলেন দীপ্তিকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।
6.88% Weekly Cashback on 2025 IPL Sports