মহাকুম্ভের পদপিষ্টের ঘটনায় কতজন হতাহত হয়েছেন? কারও মৃত্যু হয়েছে? তা নিয়ে চূড়ান্ত ধোঁয়াশা বজায় রেখেছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ সরকার। যোগী শুধু জানিয়েছেন যে কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা কত, তা জানাননি। কারও মৃত্যু হয়েছে কিনা, সেটাও জানাননি যোগী। তিনি না বললেও মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় যে প্রাণহানি হয়েছে, তা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মৃতদের পরিবারের প্রতি প্রকাশ করেছেন সমবেদনা। তিনি বলেছেন, 'প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত। যে পুণ্যার্থীরা নিজেদের পরিজনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। সেইসঙ্গে যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।' সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সবরকমের সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে। কথা হয়েছে যোগীর সঙ্গে। রাজ্য সরকারের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেনি, সাফ জানালেন পুলিশ কর্তা!
তারইমধ্যে আবার কুম্ভের স্পেশাল পুলিশ সুপার রাজেশ দ্বিবেদী দাবি করেছেন যে মৌনী অমাবস্যার দিন পদপিষ্টের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি বলেছেন, ‘পদপিষ্টের কোনও ঘটনা ঘটেনি। স্রেফ অত্যধিক ভিড়ের জন্য কয়েকজন পুণ্যার্থী আহত হয়েছেন। এখন পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। কোনওরকমের গুজবে কান দেবেন না।'
হতাহতের সংখ্যা কত? জানেন না পুলিশকর্তা!
তিনি আরও বলেছেন, ‘শীঘ্রই অমৃত স্নান (মৌনী অমাবস্যার পুণ্যস্নান) শুরু হবে। সেজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। অনেক ঘাটের উন্নয়ন করা হয়েছে। আর মানুষ কোনওরকম সমস্যা ছাড়াই সেইসব ঘাটে গিয়ে পুণ্যস্নান সাকতে পারছেন না।’ সেইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘স্রেফ অতিরিক্ত ভিড়ের’ জেরে কতজন আহত হয়েছেন, হতাহতের সংখ্যা কত, সে বিষয়ে তাঁর কাছে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই।
সকালে কী কারণে দুর্ঘটনা? খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানাল পুলিশ
আসলে রাতের দিকে পদপিষ্টের ঘটনার পরে আখাড়ার তরফে অমৃত স্নান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসায় অমৃত স্নান চালু করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ বলেছেন, ‘এবার অমৃত স্নান শুরু হতে চলেছে। প্রথা মেনে যাবতীয় কাজ হবে। আখড়াগুলি চিরাচরিত ঐতিহ্য মেনে শোভাযাত্রা করবে। তাতে সবরকমের সহায়তা করবে পুলিশ ও প্রশাসন। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আছে। সকালে যা হয়েছে, সেটা কী কারণে হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছি আমরা।’
(আপডেট: বুধবার সন্ধ্যা ৬ টা নাগাদ মহাকুম্ভের ডিআইজি বৈভব কৃষ্ণ জানিয়েছেন, ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬০ জন।)