প্রযুক্তিগত ত্রুটি। আর তারই জেরে একই ঠিকানায় শ'য়ে শ'য়ে প্যাকেজ ডেলিভারি করল ই-কমার্স সংস্থা আমাজন। শেষমেশ মহিলার বারবার অভিযোগ পেয়ে সেগুলি তুলে নিয়ে গেল সংস্থা।ঘটনাটি পশ্চিম নিউ ইয়র্কের। হঠাত্ই জিলিয়ান ক্যানান নামের ওই মহিলার কাছে কয়েকটি আমাজনের ডেলিভারি আসে। প্রথমে অর্ডার না দিয়ে ডেলিভারি আসায় একটু অবাকই হন তিনি। কিন্তু কারও উপহার বা বিজনেস পার্টনার তাঁর ঠিকানায় ডেলিভারি নিচ্ছেন বলে আন্দাজ করেন তিনি।কিন্তু পরে জানতে পারেন এমন কিছুই নয়। কেউই তাঁর ঠিকানায় অর্ডার প্লেস করেননি। এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শ'য়ে শ'য়ে প্যাকেজ আসতে থাকে তাঁর ঠিকানায়।এরপরেই সেগুলি রিসিভ করতে অস্বীকার করেন ওই মহিলা। বাড়ির উঠোনেই জমতে থাকে বাক্স। আমাজনের ক্রেতা উপভোক্তায় ফোন করে অভিযোগ জানান মহিলা।জিলিয়ানের অভিযোগ, 'আমাজনকে বারবার বলেছি, এই প্যাকেজগুলো ফেরত নিতে। কিন্তু ওরা প্রথমে মানতেই চাইছিল না যে আমি কিছু অর্ডার করিনি। তাছাড়া ওরা জানায় যে ডেলিভারি যার কাছে হয়েছে, জিনিসও তার।' শুধু তাই নয়, আরও প্রায় ১ হাজার বাক্স তাঁর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে জানায় সংস্থা।শেষমেশ ফেসবুকে গোটা পরিস্থিতির কথা ছবি তুলে ও লিখে পোস্ট করেন জিলিয়ান। সেই সঙ্গে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেরও নজরে আসে বিষয়টি। এছাড়াও ইতিমধ্যে এগুলি আসলে যে অর্ডার করেছিলেন, সেই গ্রাহকের খোঁজ পায় আমাজন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে আমাজনের আধিকারিকরা। ৩ দিন পর তাঁর বাড়ির সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় প্যাকেজগুলি।কী ছিল এই বাক্সে ?মাস্কের ভিতরে লাগানোর সিলিকন সাপোর্ট ফ্রেমে ভরা ছিল বাক্সগুলি। জিলিয়ান জানিয়েছেন, আমাজনের পক্ষ থেকে কিছু বাক্স ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিগুলি দান করা, রেখে দেওয়া বা ফেলে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আমাজন।মহিলা জানিয়েছেন, এগুলি স্থানীয় হাসপাতালের রোগী-স্বাস্থ্যকর্মীদের মাস্ক তৈরির জন্য ব্যবহার করবেন তিনি। তাঁর মেয়েও স্কুলের বন্ধুদের মধ্যে এগুলি বিতরণ করেছে।