₹2000 banknotes,Deposit interest rates,Indian currency notes,Demonetization in India,Banking system in India,Reserve Bank of India (RBI),Currency circulation in India,Financial reforms,Cashless transactions,Impact on economy,Banking policies"/>
২,০০০ টাকার নোটই ভারতে সর্বোচ্চ মূল্যের কাগজী মুদ্রা। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১,০০০-এর নোটবন্দির পর চাহিদা মেটাতে এই নোট চালু করা হয়েছিল।
ফাইল ছবি: পিটিআই
বাজার থেকে ২,০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক(RBI)। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের নির্দেশিকা অনুযায়ী, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই নোটগুলি বদলে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপের প্রভাবে ব্যাঙ্কগুলির আমানত বৃদ্ধি পাবে। সুদের হার বৃদ্ধির পথও প্রশস্ত হতে পারে। আরও পড়ুন: ₹2000 Notes: এখন ২,০০০ টাকার নোট দিয়ে কেনাকাটা করা যাবে? জানুন RBI-এর নিয়ম
২,০০০ টাকার নোটই ভারতে সর্বোচ্চ মূল্যের কাগজী মুদ্রা। ২০১৬ সালের নভেম্বরে ৫০০ ও ১,০০০-এর নোটবন্দির পর চাহিদা মেটাতে এই নোট চালু করা হয়েছিল।
এরপর RBI ধীরে ধীরে ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোট প্রকাশ করে। শুধু তাই নয়, ২০০ টাকারও একটি নোট চালু করেছিল। ২০১৮-১৯ সালে RBI ২,০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট ছাপানো বন্ধ করে দেয়।
এক্ষেত্রে উল্লেখ্য, ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কিন্তু ২,০০০ টাকার নোট দিয়ে লেনদেন করা যাবে। অর্থাত্, এখনও এই নোট দিয়ে কেনাকাটা করা যাবে। তবে বিক্রেতারা পাল্টাতে সমস্যার ভয়ে সেই নোট গ্রহণ করতে অস্বীকারও করতে পারে।
কলিয়ার্স ইন্ডিয়ার রিসার্চ প্রধান বিমল নাদার বলেন, '২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করাটা ব্যাঙ্কিং ও আর্থিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে এবং মুদ্রা ব্যবস্থাপনার জন্য একটি অতি প্রত্যাশিত এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপ।'
২,০০০ টাকার নোটের ৮৯%(আনুমানিক) ২০১৭ সালের মার্চের আগেই ছেপে বের হয়েছিল। তাদের ৪-৫ বছরের আয়ু প্রায় শেষের দিকে। ৩১ মার্চ ২০১৮ পর্যন্ত, বাজারে প্রচলনে থাকা এই নোটগুলির মোট মূল্য প্রায় ৬.৭৩ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। সেই সময়ে মোট প্রচলিত নোটের প্রায় ৩৭.৩% ছিল এই ২,০০০ টাকার নোটই। কিন্তু সময়ের সঙ্গে তা হ্রাস পেয়েছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিকল্পনামাফিক, বর্তমানে বাজারে প্রচলিত মোট নোটের মাত্র ১০.৮%-ই ২,০০০ টাকার নোট। অর্থাত্, প্রতি ১০টি বিভিন্ন অঙ্কের নোটের মধ্যে মাত্র ১টি ২,০০০ টাকার নোট। ফলে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মনে করছে, নিত্য প্রয়োজনীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে ২,০০০ টাকার নোটের চাহিদা কম। এটি বন্ধ হলে লেনদেনে সমস্যা হওয়ার পরিসরও কম। ঠিক সেই কারণেই ২,০০০ টাকার নোট তুলে নিচ্ছে RBI।
সেই পরিপ্রেক্ষিতেই, RBI ২,০০০ টাকার ব্যাঙ্কনোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আইনি দরপত্র হিসাবে তাদের বৈধতা বজায় থাকবে।