অবশেষে ইংল্যান্ডের ‘ব্যাজবল’ কৌশল নিয়ে মুখ খুললেন জো রুট। ইংল্যান্ডের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান জো রুট জানিয়েছেন, এখন সময় হয়েছে টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসকে ফেরত দেওয়ার, যিনি ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত রুটের নেতৃত্বে সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বর্তমানে রুটের টেস্ট রানের সংখ্যা ১৩,০০৬, যার মধ্যে গত তিন বছরে এবং অধিনায়কত্ব ছাড়ার পর ৩৬টি টেস্টে তার সংগ্রহ ৩,১১৭ রান। নেতৃত্ব ছেড়ে আবার দলে ফিরে আসাটা তার জন্য অদ্ভুত এক অনুভূতি ছিল, তবে এই সময়টাকেই তিনি নিজের ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উপভোগ্য পর্ব বলে মনে করছেন। এই সময়ে তার ব্যাটিং গড় ৫৬.৬৭।
৩৪ বছর বয়সি এই ব্যাটারের মতে, স্টোকসকে সেরা উপায়ে সাহায্য করার মানে হল যতটা সম্ভব রান করা। স্কাই স্পোর্টসকে রুট বলেন, ‘বেন আমার জন্য সহ-অধিনায়ক হিসেবে অনেক কিছু করেছে, এখন সময় হয়েছে তার কিছুটা ফিরিয়ে দেওয়ার। নেতৃত্ব ছেড়ে ফেরার পর দলে মানিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল, অদ্ভুতও লাগছিল। আমি চাইনি বেনের পথে কোনও রকম বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে বা তার সিদ্ধান্তে কোনও হস্তক্ষেপ করতে। তবে আমি চেয়েছিলাম সে যেন বুঝতে পারে, আমি সব সময় ওর পাশে আছি।’
এরপরে তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম, রান করাটাই আমার মূল ভূমিকা। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম ব্যাট হাতে আমি যেন ম্যাচে প্রভাব ফেলতে পারি। একজন প্রাক্তন অধিনায়ক হিসেবে তার নেতৃত্ব অনুসরণ করলে সেটা দলের নতুন বা অপেক্ষাকৃত অপরিচিত খেলোয়াড়দের জন্যও একটা গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হয়ে ওঠে।’
২০২২ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালাম প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন এবং স্টোকসের সঙ্গে গড়ে তোলেন এক আক্রমণাত্মক ক্রিকেট দর্শনের, যার নাম দেওয়া হয় ‘ব্যাজবল’। যদিও ব্যাজবলের মূল ভাবনা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলা, তবে রুট মনে করেন, এটি চোখে দেখা যতটা সহজ মনে হয়, বাস্তবে তা অনেক বেশি জটিল এবং পরিকল্পিত।
জো রুট বলেন, ‘এই সময়টা আমার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে উপভোগ্য পর্ব। আমাদের খেলার ধরণ, দলের পরিবেশ— সবকিছুই অসাধারণ। বেন আর ব্রেন্ডন যেভাবে দল পরিচালনা করছে, তা দারুণ মজার এবং ফলপ্রসূ।’
এরপরে তিনি বলেন, ‘বহুবার ব্যাজবলের প্রকৃত রূপ সংবাদমাধ্যমে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয় না— আমি বলব 'ব্যাজবল' শব্দটাই সঠিক নয়। এটা নিঃসন্দেহে বড় একটা পরিবর্তন এবং অনেক দলের চেয়ে আলাদা এক পদ্ধতি, তবে এটাতে যে অনেক সুসংগঠিত পরিকল্পনা রয়েছে, তা অনেকে বুঝতে পারে না।’
আগামী ২০ জুন হেডিংলিতে শুরু হতে চলা ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে স্টোকসের দলের অন্যতম ভরসা হবেন ফর্মে থাকা রুট। যদিও বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ায় ভারত কিছুটা নতুন মুখ নিয়ে আসছে, তবুও তাদের শক্তিশালী দলকে হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।
ভারতের স্কোয়াড: শুভমন গিল (অধিনায়ক), ঋষভ পন্ত (উইকেটকিপার), যশস্বী জসওয়াল, কে এল রাহুল, সাই সুদর্শন, অভিমন্যু ঈশ্বরন, করুণ নায়ার, নীতীশ রেড্ডি, রবীন্দ্র জাদেজা, ধ্রুব জুরেল (উইকেটকিপার), ওয়াশিংটন সুন্দর, শার্দুল ঠাকুর, জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, আকাশ দীপ, আর্শদীপ সিং, কুলদীপ যাদব, হর্ষিত রানা।
ইংল্যান্ডের প্রথম টেস্ট স্কোয়াড: শোয়েব বশির, জেকব বেটেল, হ্যারি ব্রুক, ব্রাইডন কার্স, স্যাম কুক, জ্যাক ক্রলি, বেন ডাকেট, জেমি ওভারটন, অলি পোপ, জো রুট, জেমি স্মিথ (উইকেটকিপার), বেন স্টোকস (অধিনায়ক), জোশ টঙ্গ, ক্রিস ওকস।