একটা নয়, দুটো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল ইন্দোরের ব্যবসায়ী রাজা রঘুবংশীকে। এমনটাই জানিয়েছে মেঘালয় পুলিশ।মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। এবার মেঘালয় হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়। (আরও পড়ুন: অন্য মুডে নমো! ম্যাক্রোঁর সাথে মিলে ট্রাম্পের মজা ওড়ালেন মোদী? চর্চায় তাঁর হাসি)
আরও পড়ুন: 'আমেরিকায় আসতে পারবেন?' জানতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প, মোদী বললেন...
গত ২ জুন মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জির ওয়েইসাদং জলপ্রপাতের কাছে পাওয়া গিয়েছিল রাজা রঘুবংশীর রক্তাক্ত দেহ। তদন্তে নেমে কাছের একটি পার্কিং লট থেকে একটি রক্তমাখা দা উদ্ধার করে পুলিশ।প্রাথমিক ভাবে মেঘালয় পুলিশের সন্দেহ ছিল, এই দা দিয়েই খুন করা হয়েছে রাজা রঘুবংশীকে।এরমধ্যে মঙ্গলবার মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশীর খুনের ঘটনার পুনর্নিমান করে পুলিশ। আর ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করার সময় সোনম-সহ ৪ অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। সেই সময়েই দ্বিতীয় দাটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দ্বিতীয় দাটিও উদ্ধার হয়েছে সেই খাদ থেকেই, যেখান থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং উদ্ধার হয়েছিল আগের অস্ত্রটিও। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়েইসাদং জলপ্রপাতের কাছে দুটো অস্ত্র এবং রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: 'তিনি কী বললেন তাতে কিছু যায় আসে না', ইরান নিয়ে তুলসির কথায় ভরসা নেই ট্রাম্পের)
পূর্ব খাসি পাহাড়ের এসপি বিবেক সিয়াম বলেন, 'খুনের পুরো পুনর্নিমান করা হয়েছে। আমরা ভিডিওগ্রাফি রেকর্ড করেছি। অপরাধের পুননির্মান সফল হয়েছে। গত কয়েক দিনের জিজ্ঞাসাবাদের উপর ভিত্তি করে এই পুননির্মান করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করেছে।আমরা ভিউপয়েন্টে গিয়েছিলাম এবং খুনের ঠিক আগে কে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিল তা খুঁজে বের করেছি।' এক পুলিশ আধিকারিক জানান, কী ভাবে রাজার উপর হামলা করা হয়েছিল, তা এ দিন পুনর্নির্মাণ করা হয়। তিনজনে খুন করেছিল রাজাকে এবং ঘটনাস্থলে ছিলেন সোনমও। নিজের ফোন ভেঙে ফেলেন তিনি। আর সবটাই ছিল আগে থেকে প্ল্যান করা। (আরও পড়ুন: ‘একদিকে নিষেধাজ্ঞা, আবার সন্ত্রাসবাদের সমর্থনকারীদের পুরস্কার…’, বিস্ফোরক মোদী)
ঘটনার বিবরণ
ইন্দোরে সোনম এবং রাজা রঘুবংশীর বিয়ে হয়। ২০ মে মেঘালয়ে তাঁদের হানিমুনের জন্য পৌঁছেছিলেন।তাঁদের ২৩ মে নিখোঁজ বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল। পুলিশ ২ জুন মেঘালয়ের একটি গিরিখাত থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার করে, যখন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে ৯ জুন ভোরে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থেকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওহা এবং আরও তিনজন যারা রাজা রঘুবংশীকে হত্যা করেছিল, তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের পর সোনম দাবি করেন যে তাঁকে মাদক খাইয়ে অপহরণ করা হয়েছিল এবং গাজীপুর ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশ জানায় যে, তিনি আত্মসমর্পণ করেছিলেন।অভিযুক্তদের মেঘালয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে জানা যায় যে, পুলিশ হেফাজতে সোনম স্বামী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।