কলকাতায় ফের পুলিশকর্মীর রহস্যমৃত্যু! গড়িয়াহাটে একটি ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই পুলিশ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম সুব্রত কুমার সাহু। তিনি ওড়িশা পুলিশে কর্মরত ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে গড়িয়াহাটের হিন্দুস্থান পার্ক এলাকায় একটি ভাড়াবাড়ি থেকে উদ্ধার হয় তাঁর দেহ। তাঁত মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। (আরও পড়ুন: BSF-এর জালে ২ হিন্দু সহ ৫ বাংলাদেশি, অনুপ্রবেশকারীদের ফেরানো হল নিজেদের দেশে)
আরও পড়ুন: পুলিশ অফিসারের রিভলভার ছিনিয়ে নিজেকে গুলি, ১০দিন পর মৃত্যু সেই কনস্টেবলের
জানা গিয়েছে, মৃত পুলিশ কর্মী ওড়িশার কেওনঝার জেলার বাসিন্দা। কিছুদিন আগে ট্রেনিংয়ের জন্য কলকাতায় আসেন। সহকর্মীদের সঙ্গে গড়িয়াহাটে ভাড়াবাড়িতে থাকতেন তিনি। ঘটনার দিন বিকেল থেকে দীর্ঘ সময় একা ছিলেন সুব্রত। বাইরে থেকে দরজা বন্ধ ছিল। বারবার ডাকাডাকি করেও কোনও সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হয় সহকর্মীদের। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই তাঁরা সুব্রতর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় গড়িয়াহাট থানায়। পুলিশ এসে রাতেই দেহ উদ্ধার করে পাঠায় ময়নাতদন্তে। (আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ না মিটিয়ে কি ফের আদালতে রাজ্য? মামলা নিয়ে সামনে এল বড় দাবি)
তবে এই মৃত্যুর নেপথ্যে কী রহস্য রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে করছে পুলিশ। কিন্তু কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। তাই আত্মহত্যা না কি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃতের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করে জানা হচ্ছে, সম্প্রতি তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন ছিল, কিংবা কোনও চাপ বা সমস্যা চলছিল কি না। সহকর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল ভারতীয়কে, পরে ভুল বুঝে ব্যক্তিকে দেশে ফেরাল BSF)
উল্লেখ্য, শহরে একের পর এক পুলিশকর্মীর রহস্যমৃত্যু বা আত্মহত্যার ঘটনা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে। সম্প্রতি অলিপুরের বডিগার্ড লাইনসে আরও এক পুলিশকর্মী সুখলাল মুর্মুর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয়। একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়। এছাড়াও কলকাতা সিটি সিভিল কোর্টে এক কনস্টেবল নিজের বন্দুক থেকে গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন। মাত্র কিছুদিন আগেই উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার অন্তর্গত একটি নাকা পয়েন্টে এক পুলিশ রিভলবার ছিনিয়ে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী হয়েছিলেন এই কনস্টেবল।