সন্ত্রাস দমনকারী ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ ঘিরে সংঘর্ষ বিরতির পর থেকেই পাকিস্তানের সঙ্গে মার্কিন সখ্যতা বেড়েছে। পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিম মুনির ২ বার গিয়েছেন আমেরিকা। ২ বারই দেখা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে। এই আবহে পাকিস্তানের তরফে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। অন্যদিকে, ট্রাম্পও পাকিস্তানের ওপর ১৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন, যেখানে ভারতের ওপর মার্কিন শুল্ক মোট ৫০ শতাংশ। এই অবস্থায় পাকিস্তানের সঙ্গে ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। এই অবস্থায় পুরনো 'সব মরশুমের বন্ধু’ চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হবে? উত্তর দিলেন পাকিস্তানি সেনা প্রধান মুনির।
উল্লেখ্য, সদ্য পাকিস্তানের এক দৈনিক সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেইলি জং’র তরফে লেখক সুহেল ওয়াররিচের এক প্রতিবেদন সামনে আসে। সেখানে তিনি, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির প্রশ্ন করেন, আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সখ্যতার প্রেক্ষিতে চিনের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক কী হবে? উল্লেখ্য, বিশ্ব আঙিনায় দুই শক্তিধর দেশ, চিন ও আমেরিকার সম্পর্কের উত্থান-পতন দিয়ে বিশ্ব কূটনীতি অবগত। এই পরিস্থিতিতে আসিম মুনির বলছেন,' আমরা এক বন্ধুর জন্য আরেক বন্ধুকে ত্যাগ করব না।'
চিনে তৈরি সাবমেরিন পাচ্ছে পাক?
সদ্য ‘অপারেশন সিঁদুর’এ চিনে নির্মিত অস্ত্র ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে ব্যাকফুটে যায় পাকিস্তান। বহু চিনা অস্ত্রই ভারতীয় সেনার দাপটের কাছে ধাক্কা খায়। এবার মার্কিন মুলুকের সঙ্গে সখ্যতা বেড়ে ওঠা পাকিস্তানে আরও এক অস্ত্র পাঠাল চিন। এদিকে, চিনের থেকে পাকিস্তান ৮ টি হ্যাঙ্গার ক্লাস সাবমেরিন কিনছে। আর তার মধ্যে তৃতীয় সাবমেরিনটি এবার পাকিস্তানে পাঠাচ্ছে চিন। উল্লেখ্য, এই সাবমেরিন পাকিস্তানি নৌসেনা শক্তিকে বাড়াবে বলে দাবি করা হচ্ছে। SIPRI-র রিপোর্ট অনুসারে পাকিস্তানের অস্ত্রের ৮১ শতাংশই আসছে চিন থেকে। গত ৫ বছরে চিনের অস্ত্র কেনার বিষয়ে পাকিস্তান যে অর্ডার দিয়েছে চিনকে, তার মধ্যে স্পাই শিপ, ব্যাটল ট্যাঙ্ক সহ একাধিক সামগ্রী রয়েছে।