হিংস্র কুকুরদের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছে পিটবুলের নাম। ইতিমধ্যেই ছেলের পোষ্য পিটবুলের আক্রমণের শিকার হয়ে বৃদ্ধা মায়ের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। কিন্তু তারপরেও যে মানুষের কোনও হুঁশ ফেরেনি, মানুষ সচেতন হয়নি, চেন্নাইয়ের ঘটনা তার প্রমাণ।
আরও পড়ুন-একতরফা প্রেমের ভয়ঙ্কর পরিণতি! শিক্ষিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা ছাত্রের, তারপর...
মালিকের চোখের সামনেই পোষ্য পিটবুলের আক্রমণে প্রাণ হারালেন ৫৫ বছর বয়সি এক ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, হিংস্র পিটবুলের আক্রমণে রক্তাক্ত হয়েছেন খোদ মালিকও।গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই মহিলা। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের জাফরখানপেট এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম করুণাকরণ। পুলিশ জানিয়েছে, কুকুরটি ওই ব্যক্তির গোপনাঙ্গে আক্রমণ করে, যার কারণে রাস্তায় যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গেছে, ওই মহিলা তার পোষ্য পিটবুলটিকে নিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়, কুকুরটির গলায় কোনও বেল্ট বাঁধা ছিল না। রাস্তায় হঠাৎ করুণাকরণকে পাশ দিয়ে যেতে দেখে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হিংস্র পিটবুল। করুণাকরণকে আঁচড়ে কামড়ে দেয়। তাঁর গোপনাঙ্গেও কামড়ে দেয় পিটবুলটি।
আরও পড়ুন-একতরফা প্রেমের ভয়ঙ্কর পরিণতি! শিক্ষিকাকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা ছাত্রের, তারপর...
অন্যদিকে, পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে যেতে দেখে পোষ্যকে ধরার চেষ্টা করেন ওই মহিলা।কিন্তু মালিককেও রেহাই দেয়নি ওই পিটবুল। করুণাকরণকে বাঁচাতে গিয়ে ওই মহিলাও গুরুতর আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হবে। কুকুরটিকে রাখার লাইসেন্স মালিকের কাছে কিনা তা তদন্ত করছে পুলিশ। এদিকে, পশুচিকিৎসাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে পুলিশ। তারা কুকুরটিকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, পিটবুলটিকে বেঁধে না নিয়ে হাঁটার জন্য তারা মহিলাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু মহিলা কারও কথা শোনেননি।চেন্নাই কর্পোরেশন কুকুরের ক্রমাগত আক্রমণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে এবং বিপজ্জনক কুকুরদের মুখ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।অন্যদিকে, সুপ্রিম কোর্টও দিল্লি-এনসিআর থেকে সমস্ত পথ কুকুরকে অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে। যার জেরে ব্যাপক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।