প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মিমি চক্রবর্তী-অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার পর এবার অনলাইন বেটিং এবং গেমিং প্ল্যাটফর্ম 1xBet-এর সঙ্গে যুক্ত অর্থ পাচারের মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) দফতরে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলা। তিনি দ্বীপপুঞ্জের কুরাকাওতে 1xBet প্ল্যাটফর্মের ভারতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
সূত্রের খবর, ইডি আর্থিক জালিয়াতি প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর অধীনে উর্বশী রাউতেলার বক্তব্য রেকর্ড করেছে। তবে শুধু উর্বশী নন, সাম্প্রতিক সময়ে, ইডি এই মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকজন সেলিব্রিটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তারমধ্যে ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়না, রবীন উথাপ্পা, শিখর ধাওয়ান, অভিনেতা সোনু সুদ, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী এবং অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন অনলাইন ইনফ্লুয়েন্সারকেও তলব করা হয়েছে। অর্থ পাচার বিরোধী আইনের অধীনে তদন্ত চালাচ্ছে ইডি। আর তাতেই মনে করা হচ্ছে এই সংস্থাটি বেশ কিছু খেলোয়ার এবং অভিনেতার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে পারে। 1xBet প্ল্যাটফর্ম নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে ইডি আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন কিছু সেলিব্রিটি তাদের দেওয়া এনডোর্সমেন্ট ফি ব্যবহার করে প্রভুত সম্পদশালী হয়ে উঠেছেন। এই আয় ইডি পিএমএলএ-এর অধীনে 'অপরাধ থেকে আয়' হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
আরও পড়ুন-মহিলা ক্রুদের সঙ্গে ছবি-স্ক্রিনশট! দিল্লির 'বাবা'র ফোনে কুকীর্তি ফাঁস, বিস্মিত পুলিশ
অন্যদিকে 1xBet-কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি একটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত বুকমেকার। ১৮ বছর ধরেতারা বেটিং অ্যাপ চালাচ্ছে। এর ওয়েবসাইটে স্পষ্ট লেখা রয়েছে ব্যবহারকারীর হাজার হাজার ক্রীড়া ইভেন্টে বাজি রাখতে পারেন 1xBet এর মাধ্যমে। এই অ্যাপটি ৭০টি ভাষায় উপলব্ধ। কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি আইনি ব্যবস্থার মাধ্যমে টাকা দিয়ে অনলাইন গেমিং নিষিদ্ধ করেছে। নিষেধাজ্ঞার আগে, মার্কেট অ্যানালিস্টরা এবং ইডির মতো তদন্তকারী সংস্থাগুলি অনুমান করেছিল যে প্রায় ২২ কোটি ভারতীয় বিভিন্ন অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারী ছিলেন। তাদের অর্ধেক নিয়মিত এই বেটিং অ্যাপ ব্যাবহার করত।
আরও পড়ুন-মহিলা ক্রুদের সঙ্গে ছবি-স্ক্রিনশট! দিল্লির 'বাবা'র ফোনে কুকীর্তি ফাঁস, বিস্মিত পুলিশ
গত মাসে, আরেকটি অনলাইন বেটিং অ্যাপ Parimatch সম্পর্কিত একটি মামলায় ইডি বেশ কয়েকটি রাজ্যে অভিযান চালিয়েছিল।ইডির মতে, এই ধরনের বেটিং অ্যাপগুলি কেবল অবৈধই নয়, বরং এর মাধ্যমে বড় আকারের অর্থ পাচারের কার্যক্রমও পরিচালিত হয়। এই অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে বিনিয়োগকারীদের কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করা বা বিপুল পরিমাণ কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ক্ষেত্রে, ইডি ব্যবস্থা জোরদার করেছে, বিশেষ করে সেই সব বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে, যেখানে চলচ্চিত্র তারকা এবং ক্রিকেটাররা জড়িত। এই পর্বে, ক্রিকেটার এবং চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত এগিয়ে চলছে। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও বড় নাম বেরিয়ে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।