ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তরপ্রদেশে রাজনৈতিক জার্সিবদলের বহু ছবি উঠে এসেছে। বিজেপি ছেড়ে যেমন অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি শিবিরে একাধিক হেভিওয়েটরা গিয়েছেন, তেমনই আবার, অখিলেশের ঘরের সদস্যরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিজেপি-সপার রাজনীতি যখন দলবদল ঘিরে আবর্তিত হতে শুরু করেছে , তখনই ২০২২ উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন? তা নিয়ে জোর সওয়াল চলছিল। যার উত্তরে কার্যত ইঙ্গিত স্পষ্ট করলেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
'কংগ্রেসের তরফে আর কারোর মুখ দেখতে পাচ্ছেন কি?' সাংবাদিকের প্রশ্নে ঠিক এভাবেই জবাব দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শুক্রবার এক সাংবাদিক বৈঠকে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন যে, 'কংগ্রেসের মুখ কি আপনি হচ্ছেন?' এর উত্তরেই প্রিয়াঙ্কা এই জবাব দেন। প্রশ্নের প্রসঙ্গ অবশ্যই ছিল উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের 'মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীর মুখ' কে হবেন, তা নিয়ে। ঠোঁটের কোণে মুচকি হাসি নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, 'দেখা তো যাচ্ছে সব জায়গায় আমার মুখ।' উল্লেখ্য, এর আগে যতবারই প্রিয়াঙ্কাকে তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীপদ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তিনি জবাবে বলেন, এবিষয়ে সময় আসলে কথা হবে। সেই প্রসঙ্গ তুলেই শুক্রবার প্রিয়াঙ্কার সামনে রাখা হয় এই লাখ টাকার প্রশ্ন। যার উত্তরে কার্যত উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘিরে ধোঁয়াশা কাটিয়ে দিলেন প্রিয়াঙ্কা।
উল্লেখ্য, ২০২২ বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশে সবচেয়ে বড় ইস্যু মহিলা নিরাপত্তা। আর তা ঘিরেই বিভিন্ন দল ভোটের ইস্যুর সঙ্গে নিজের প্রচার স্ট্র্যাটেজিতে শান দিয়েছে। কংগ্রেসের স্লোগান 'লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ' ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে মহিলা ইস্যুকে সামনে রেখে বিভিন্ন জায়গায় প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ঘিরে পোস্টার ব্যানার পড়তে শুরু করে দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী কার্যত স্পষ্ট করে দিলেন যে উত্তরপ্রদেশের ভোট ময়দানে যোগী আদিত্যনাথ, অখিলেশ যাদবদের কাঁটে কা টক্কর দিতে তিনি কংগ্রেসের তরফে প্রস্তুত। এরপর অপেক্ষা রইল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার জন্য। সেখানেই জানা যাবে, প্রিয়াঙ্কার আজকের ইঙ্গিতই কি বাস্তবায়িত করতে চলেছে সোনিয়া শিবির? কাউন্টডাউন শুরু।