রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতায় নেমেছে আমেরিকা। সম্প্রতি ওয়াশিংটনে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। যদিও সেই সাক্ষাৎ সুখের ছিল না। দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল মিডিয়ার সামনেই। এরপরই কিয়েভকে সামরিক সাহায্য এবং গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ বন্ধ করেছিল ইউক্রেন। তবে সৌদি আরবে ইউক্রেন ও আমেরিকার আলোচনায় কিছুটা জট খুলেছে। ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাব মেনে নেওয়ার পক্ষে বার্তা দিয়েছে ইউক্রেন। এদিকে কিয়েভের সঙ্গে ফের একবার সামরিক গোয়েন্দা তথ্য ভাগ করে নিতে সম্মত হয়েছে আমেরিকা। (আরও পড়ুন: অভ্যুত্থান ঘিরে জল্পনা, বিস্ফোরক রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতে মুখ খুলল বাংলাদেশি সেনা)
আরও পড়ুন: উদ্ধার শতাধিক যাত্রী, পাক ট্রেন হাইজ্যাক কাণ্ডে প্রাণ গিয়েছে ১৬ বালোচ যোদ্ধার
উল্লেখ্য, ১১ মার্চ সৌদি আরবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর উপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বৈঠক করেন। রুবিও বলেন, 'এই বৈঠকে উঠে আসা প্রস্তাবগুলির বিষয়ে রাশিয়াকে জানাবে যুক্তরাষ্ট্র। তিনি বলেন, ইউক্রেন গুলি চালানো বন্ধ করে আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত। এখন এটা রাশিয়ার ওপরে... যে তারা কথা বলতে চায় কি চায় না।' এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ বলেন, 'ইউক্রেনের প্রতিনিধি দল একটি বিষয় খুব স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের 'শান্তির দৃষ্টিভঙ্গি'র সঙ্গে সহমত।' ওয়াল্টজ বলেন, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা দীর্ঘমেয়াদী সুরক্ষা গ্যারান্টি পেয়েছেন এই বৈঠক থেকে। এই যুদ্ধ কীভাবে স্থায়ীভাবে শেষ হতে পারে, সেই সম্পর্কে সুস্পষ্ট বিবরণ পেয়েছেন তাঁরা।'
এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদিতে বৈঠকের আগেই ১১ মার্চ রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০২৫ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রথম বড় আকারের আগ্রাসী হামলা এটি। এদিকে ড্রোন হামলার জেরে মস্কোর তিনটি বিমানবন্দরে প্লেন ওঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়েছিল। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেনের ৩৩৭টি ড্রোনকে প্রতিহত করেছে তারা। এর মধ্যে মস্কোর আকাশেই ধ্বংস করা হয়েছে ৯১টি ড্রোন।