একদিকে শান্তি আলোচনার জন্যে উভয় পক্ষকেই চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। আর অপরদিকে যুদ্ধের আঁচ আরও বাড়িয়ে দিল ইউক্রেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ২০২৫ সালে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রথম বড় আকারের আগ্রাসী হামলা এটি। গভর্নর আন্দ্রেই ভরোবিওভ টেলিগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে জানিয়েছেন, হামলায় ক্ষয়ক্ষতির কারণে এখনও পর্যন্ত ওই অঞ্চলের সাতটি অ্যাপার্টমেন্ট খালি করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প আসার পর বিশ্বের শীর্ষ ৫ বিলিয়নিয়ারের সম্পদ কমেছে কত? শুনলে ঘুরবে মাথা)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পে নেই ভরসা, মন্দার শঙ্কায় মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস, প্রভাব পড়বে ভারতেও?
মঙ্গলবার রাশিয়ার রাজধানীতে আসার কথা অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপের (ওএসসিই) সেক্রেটারি জেনারেলের। সেই সফর ঠিক আগে ড্রোন হামলাটি চালানো হয়। মস্কোর মেয়র জানিয়েছেন, একটি ভবনের ছাদে 'নগণ্য' ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং একটি পার্কিং লটে আগুন লেগেছে। এদিকে ড্রোন হামলার জেরে মস্কোর তিনটি বিমানবন্দরের ভেতরে ও বাইরে ফ্লাইট চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। বিমানেপ টেকঅফ স্থগিত করা হয়েছে। শহরের দোমোদেদোভো রেলস্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেনগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে। (আরও পড়ুন: হাসিনার 'স্বপ্ন' ভুলে কি ভারতের সঙ্গে 'মানিয়ে গুছিয়ে' নেওয়ার বার্তা ইউনুসের?)
আরও পড়ুন: চরম অপমান পাকিস্তানকে, রাষ্ট্রদূতকে ভিসা দিয়েও ঢুকতে দেওয়া হল না মার্কিন মুলুকে
আরও পড়ুন: সময়টা ভালো যাচ্ছে না ইলন মাস্কের, একদিনে টেসলার শেয়ার দর পড়ল ১৫ শতাংশ
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনের ৩৩৭টি ড্রোনকে প্রতিহত করেছে, যার মধ্যে মস্কোর আকাশে ৯১টি ড্রোনকে ধ্বংস করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে তিন বছর ধরে চলছে এই সংঘাত। এই যুদ্ধের অবসানের জন্য ইউক্রেনীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের সৌদি আরবে বৈঠক হওয়ার কথা। তার ঠিক আগে মস্কোর ওপর এই হামলা চালানো হল। এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওভাল অফিসে এক বৈঠকের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিয়েছিল। এরপর ইউক্রেনকে সব ধরনের সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য দেওয়া বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের জন্য রাশিয়ার উপর বড় আকারের ব্যাঙ্কিং নিষেধাজ্ঞা এবং শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে তাতেও সংঘাত থামছে না।