রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে এবার সরাসরি উদ্যোগী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী শুক্রবার, ১৫ আগস্ট আলাস্কার গ্রেট ইস্টে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন তিনি। ট্রাম্প নিজেই এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এই আবহে রবিবার রবিবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আলাস্কায় রুশ প্রতিপক্ষ ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনীয় প্রতিপক্ষ ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করতে প্রস্তুত।
ইতিমধ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে এই বৈঠকে যুক্ত করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এনবিসি নিউজ এর আগেই জানিয়েছে যে হোয়াইট হাউস জেলেনস্কিকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বিবেচনা করছে।তবে জেলেনস্কি ওই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা সে বিষয়ে কোনও নিশ্চিত খবর পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় নেতারাও দ্রুত এই আলোচনায় যুক্ত হয়ে বৈঠকের শর্তগুলি বোঝার চেষ্টা করছেন এবং নিশ্চিত হতে চাইছেন যে, ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনায় সে দেশকে বাদ দেওয়া হচ্ছে না। শনিবার ব্রিটেনে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা বৈঠক করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে। বৈঠকের পর কয়েকজন ইউরোপীয় নেতা জানান, তাঁরা ট্রাম্পের কূটনৈতিক উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও শর্ত রয়েছে, যে কোন শান্তি আলোচনা অবশ্যই যুদ্ধবিরতির পর শুরু হতে হবে এবং ইউক্রেনকে সক্রিয়ভাবে আলোচনায় যুক্ত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন-বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ডবল ভোটার ID! তেজস্বীর বিস্ফোরণে স্বীকারোক্তি বিজেপি নেতার
হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা বলেন, ট্রাম্প দুই নেতাকে নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সম্মেলনের জন্য আগ্রহী। এদিকে জেলেনস্কি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ইউক্রেন তার ভাগ্য নির্ধারণে স্বাধীন। অর্থবহ আলোচনা কেবল যুদ্ধবিরতি বা সংঘর্ষ হ্রাসের প্রেক্ষাপটেই সম্ভব। আমরা নীতিগতভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলপ্রয়োগে পরিবর্তন করা যাবে না। বর্তমান যুদ্ধরেখাই আলোচনার সূচনাবিন্দু হবে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, 'যে কোন সমঝোতায় বিশ্বস্ত ও কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা থাকতে হবে, যা ইউক্রেনকে তার সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতা কার্যকরভাবে রক্ষা করতে সক্ষম করে।'
আরও পড়ুন-বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী ডবল ভোটার ID! তেজস্বীর বিস্ফোরণে স্বীকারোক্তি বিজেপি নেতার
গত মাসে ট্রাম্প পুতিনকে যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানানোর জন্য আলটিমেটাম দিয়েছিলেন, নতুবা শুক্রবার থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। এই সময়সীমা বৈঠকের পরিকল্পনা থাকা সত্ত্বেও বহাল রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যদিও হোয়াইট হাউস বলেনি কী ধরনের দ্বিতীয় পর্যায়ের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।এরমধ্যে রাশিয়ার তেল কেনার জন্য তিনি ভারতের উপর মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন।এনিয়ে পাল্টা কড়া বিবৃতি জারি করে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ 'অন্যায্য, অন্যায় ও অযৌক্তিক' বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে প্রতিক্রিয়া জানানো হয়। পাশাপাশি স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, 'জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেবে ভারত।'