লাগামহীনভাবে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ। টানা তিনদিন নয়া আক্রান্তের সংখ্যা ৪০,০০০-এর গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। ক্রমশ খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। সেই উর্ধ্বমুখী সংক্রমণে রাশ টানতে এবার পুরো রাজ্যে সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিল মহারাষ্ট্র সরকার। সেই সঙ্গে আগামিকাল থেকে পুরো রাজ্যেই ১১ ঘণ্টার রাত্রিকালীন কার্ফু (নাইট কার্ফু) কার্যকর হতে চলেছে।রবিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের পৌরহিত্যে জরুরি ভিত্তিতে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেখানেই পুরো রাজ্যে সপ্তাহান্তে সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকের পর উদ্ধব সরকারের মন্ত্রী নবাব মালিক জানান, প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার রাত আটটা থেকে রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হবে। চলবে সোমবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। সেই সময় জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত যাবতীয় কাজে ছাড় দেওয়া হবে।সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে সম্পূর্ণ লকডাউন না থাকলেও নাইট কার্ফু লাগু করা হবে। মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী আসলাম শেখ জানিয়েছেন, রাত আটটা থেকে পরদিন সকাল সাতটা পর্যন্ত নাইট কার্ফু চলবে। সেইসময় কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড়পত্র মিলবে। কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করতে হবে। রেস্তোরাঁ এবং হোটেল খোলা রাখা যাবে। তবে সেখানে বসে খাওয়া যাবে না। খাবার পার্সেল নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে হবে। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য সমস্ত ধর্মীয়স্থান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র দৈনন্দিন পুজো এবং প্রার্থনার জন্য ধর্মীয়স্থান খোলা যাবে। রাত আটটার পর পার্ক বন্ধ করে দিতে হবে। পাশাপাশি মাল্টিপ্লেক্স, প্রেক্ষাগৃহ, শপিং মল বন্ধ থাকবে। তবে শুটিং বন্ধ থাকবে না। মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী নবাব মালিক বলেন, ‘একইভাবে যেখানে শ্রমিকদের থাকার সুযোগ-সুবিধা আছে, সেখানে নির্মাণকাজও বন্ধ থাকবে না। ’অন্যদিকে ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস, ট্রেনের মতো গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাজার, কলকারখানা, গণপরিবহণ চালু রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে কড়া বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে। যা রবিবার সন্ধ্যার মধ্যে সম্ভবত ঘোষণা করবে সরকার। বাস, ট্রেন, ট্যাক্সি এবং অটো ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে।’ সেইসঙ্গে দিনের বেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা থাকবে। তার ফলে একসঙ্গে পাঁচজনের বেশি জমায়েত হতে পারবেন না।