মেঘালয়ে হানিমুনে হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনে অভিযুক্ত খোদ নববিবাহিত স্ত্রী সোনম রঘুবংশী। এবার পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত বিশাল সিংহ চৌহানের বয়ানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, রাজা রঘুবংশীকে হত্যার জন্য যখন প্রথম আঘাত করে খুনি, তখনই সেখান থেকে পালিয়ে যান স্ত্রী সোনম। (আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ নিয়ে বড় খবর,চরম চাপে থাকা রাজ্য করতে পারে বড় পদক্ষেপ)
আরও পড়ুন: ইরানের পাশে থাকার বার্তা মুনিরের,সেই পাক সেনা প্রধানের সঙ্গে লাঞ্চ করবেন ট্রাম্প
মেঘালয়ে রাজা রঘুবংশীর খুনের ঘটনার পুনর্নিমান করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট)।। আর ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করার সময় অভিযুক্তদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে।শিলং থেকে ৬৫ কিলোমিটার দূরে সোহরা এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোনম- সহ বাকি অভিযুক্তদেরও। কড়া নিরাপত্তার বেষ্টনীতে ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করা হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, রাজাকে প্রথম কাটারি নিয়ে আক্রমণ করেছিল বিশাল। তারও আগে রাজাকে মারাত্মকভাবে আঘাত করেছিল বিশাল। প্রবল চোট পান রাজ। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। চিৎকার করতে থাকেন তিনি। চোখের সামনে যন্ত্রণায় রাজাকে কাতরাতে দেখেও বিন্দুমাত্র ভ্রূক্ষেপ করেননি সোনম। বরং ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর আবারও কাটারি নিয়ে রাজাকে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে ভাড়াটে খুনিদের মধ্যে অন্যতম মূল অভিযুক্ত বিশাল সিং চৌহান। পুলিশ আগেই জানিয়েছিল, বিশাল কাটারি নিয়ে আক্রমণ করলেও, প্রথমেই হার মানেননি রাজা রঘুবংশী। আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। নৃশংস ভাবে খুন হতে হয়েছে ইন্দোরের ব্যবসায়ীকে। ()
আরও পড়ুন: 'আমেরিকায় আসতে পারবেন?' জানতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প, মোদী বললেন...
মেঘালয় পুলিশ আরও জানিয়েছে, একটা নয়, দুটো অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে। একটি কাটারি আগেই উদ্ধার হয়েছিল। এবার উদ্ধার হয়েছে দ্বিতীয় কাটারিটিও।মঙ্গলবার ক্রাইম সিনের পুনর্নিমান করার সময় অভিযুক্তদেরও নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঘটনাস্থলে। সেই সময়েই দ্বিতীয় কাটারিটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। দ্বিতীয় কাটারিটিও উদ্ধার হয়েছে সেই খাদ থেকেই, যেখান থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল এবং উদ্ধার হয়েছিল আগের কাটারিটিও।
ঘটনার বিবরণ
ইন্দোরে সোনম এবং রাজা রঘুবংশীর বিয়ে হয়। ২০ মে মেঘালয়ে তাঁদের হানিমুনের জন্য পৌঁছেছিলেন।তাঁদের ২৩ মে নিখোঁজ বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল। পুলিশ ২ জুন মেঘালয়ের একটি গিরিখাত থেকে রাজা রঘুবংশীর দেহ উদ্ধার করে, যখন তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশী নিখোঁজ ছিলেন। তাঁকে ৯ জুন ভোরে উত্তরপ্রদেশের গাজীপুর থেকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর প্রেমিক রাজ কুশওহা এবং আরও তিনজন যারা রাজা রঘুবংশীকে হত্যা করেছিল, তাদেরও গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারের পর সোনম দাবি করেন যে তাঁকে মাদক খাইয়ে অপহরণ করা হয়েছিল এবং গাজীপুর ফেলে দেওয়া হয়েছিল। তবে পুলিশ জানায় যে, তিনি আত্মসমর্পণ করেছিলেন।অভিযুক্তদের মেঘালয় পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে জানা যায় যে, পুলিশ হেফাজতে সোনম স্বামী রাজা রঘুবংশীর হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।