জুলাই বিল্পবের সময় আন্দোলনকারীদের হত্যার মামলায় বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করা হয়েছে বলে দাবি করলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৭ অক্টোবর জুলাই-অগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগের পৃথক মামলায় শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। তারপর ১০ নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তরফ থেকে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির বিষয়ে পদক্ষেপ করতে পুলিশকে চিঠি দিয়েছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশি রোগীদের চিকিৎসা কেন? মুকুন্দপুরের হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ)
আরও পড়ুন: ২ কেন্দ্রে ভোটার লিস্টে নাম আনসারুল্লা বাংলা টিমের জঙ্গির! চোখ কপালে গোয়েন্দাদের
হাসিনাকে দেশে ফেরাতে এই রেড নোটিশ জারি সহায়তা করবে বলে আশা করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মহম্মদ তাজুল ইসলাম। সম্প্রতি ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের বিদেশ সচিব মহম্মদ জসিমউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন বিক্রম। এরপর দেশে ফিরে এসে বিদেশ বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে মুখোমুখি হয়েছিলেন। আর এরপরই বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছিলেন, 'আমরা আশা করি, যথাসময়ে বাংলাদেশের সাথে ভারতের যে বন্দি বিনিময় চুক্তি আছে, সেই চুক্তি অনুযায়ী ভারত শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবে।' (আরও পড়ুন: হাসিনা জমানায় 'গুম কাণ্ডে' ভারত যোগ? চাঞ্চল্যকর দাবি ইউনুসের তদন্ত কমিশনের)
আরও পড়ুন: সম্ভলে অভিযান চলাকালীন মিলেছিল বহুদিন বন্ধ মন্দিরের খোঁজ, সেখানেই শুরু হল পুজো
এই নিয়ে আসিফ বলেছিলেন, 'ভারতের বিদেশ সচিব যখন বাংলাদেশে এসেছেন, তখন তাঁকে আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে এটা বলা হয়েছে - শেখ হাসিনা একজন গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট। তাঁর এই মুহূর্তে বিচার হওয়ার কথা, তাঁর এখন জেলে থাকার কথা। কিন্তু তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। এবং সেখান থেকেই তিনি বিভিন্ন কর্মসূচি, বিভিন্ন বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা আশা করি এই ধরনের আর কোনও বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে ভারত তাঁকে বাধা দেবে।' (আরও পড়ুন: জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলাকারী ছিলেন 'ইসলামোফোবিক', 'বামপন্থী'!)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে শ্মশানের মন্দিরে ডাকাতি, হাত-পা বেঁধে খুন করা হল সেবায়েতকে
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেই থেকে এখানেই আছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে ভারত থেকে তাঁর কোনও বক্তব্য শোনা যায়নি সেভাবে। তাঁর হয়ে ছেলে ওয়াজেদ সজীব জয় বক্তব্য পেশ করছিলেন। তবে বিগত দিনে শেখ হাসিনা রাজনৈতিক বিবৃতি দিচ্ছেন ভারতে বসেই। ঢাকায় থাকা ইউনুস সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন বিভিন্ন ইস্যুতে। এদিকে এই বিষয়ে বিক্রম মিশ্রি ভারতের সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা নিজের ব্যক্তিগত কমিউনিকেশনস ডিভাইস ব্যবহার করে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন। ভারত সরকার কোনও ভাবে সেই সব মন্তব্যের সঙ্গে যুক্ত নয় বা সেই সব মন্তব্য করার জন্যে কোনও প্ল্যাটফর্মও ভারত সরকার তাঁকে দেয়নি।