KHANAURI/AMBALA : রাতভর অভিযানে পঞ্জাবের শম্ভু ও খনৌরি সীমান্ত থেকে প্রতিবাদী কৃষকদের সরিয়ে দিল পঞ্জাব পুলিশ। এরই সঙ্গে সেখানের হাইওয়েতে প্রায় ১ বছর ধরে থাকা বহু গাড়ি, ব্যারিকেডও সরিয়ে দিয়েছে পঞ্জাব পুলিশ। এদিকে, জানা যাচ্ছে, পঞ্জাব পুলিশের পর হরিয়ানা পুলিশও হরিয়ানা সীমান্তে অভিযানে নেমেছে। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, পঞ্জাব পুলিশ এই অভিযানে ৪৫০ জনেরও বেশি কৃষককে আটক করেছে। জানা গিয়েছে আটকদের মধ্যে বহু কৃষক নেতাও রয়েছেন। জানা গিয়েছে পঞ্জাবের মোহালিতে একাধিক তাবড় কৃষক নেতাকে আটক করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৩ মাস ধরে অবরোধ ছিল পঞ্জাবের শম্ভু ও খনৌরি সীমান্তে। সেই অবরোধ তুলতে পঞ্জাব পুলিশ, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ও কৃষকদের মধ্যে আলোচনা হয়। সেই আলোচনার ঘণ্টা খানেক পরই অভিযানে নামে পঞ্জাব পুলিশ।উল্লেখ্য, কৃষকদের দাবির মধ্যে রয়েছে তাদের ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের আইনি নিশ্চয়তা, ঋণ মওকুফ, কৃষক ও কৃষি শ্রমিকদের জন্য পেনশন এবং আরও অনেক বিষয়।
উল্লেখ্য, পুলিশ কর্মী ও কৃষকদের মধ্যে ছোটখাটো সংঘাত ছাড়া সেভাবে কোনও বড় ঘটনা এই অভিযান ঘিরে দেখা যায়নি। জানা গিয়েছে, সরকারের তরফে পাঠানো বাসগুলিতে বসে নির্দিষ্ট জায়গায় ওই কৃষক নেতাদের পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, এর আগে, কৃষক নেতাদের কাছে কেন্দ্রীয় দল ও পঞ্জাব পুলিশের আবেদন ছিল যে, তাঁরা যেন ওই অবরোধের জায়গা দিয়ে অন্তত গাড়িগুলিকে যেতে দেন। সেই আবেদন নাকচ করে দেন কৃষক নেতারা। খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান।
এদিকে, প্রশাসনের অনুরোধ কৃষকরা খারিজ করতেই অভিযানে নামে পঞ্জাব পুলিশ। দুই পক্ষের সাম্প্রতিক আলোচনা যদিও দীর্ঘদিনের অবরোধকে সরিয়ে দিতে সাহায্য করেছে। জানা গিয়েছে ফের দুই পক্ষ আগামী ৪ মে আলোচনায় বসবে। পঞ্জাবের অর্থমন্ত্রী হরপাল চিমা বলেন, ‘এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কারণ আমরা চাই পাঞ্জাবের যুবকরা কর্মসংস্থান পাক। আমরা শম্ভু এবং খানৌরি সীমান্ত খুলে দিতে চাই। কৃষকদের দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে, ফলে তাঁদের দিল্লিতে বা অন্য কোথাও প্রতিবাদ করা উচিত, কিন্তু পাঞ্জাবের রাস্তা অবরোধ করা উচিত নয়।’ কৃষকদের আটকে রাখার জন্য পুলিশি পদক্ষেপের জন্য অনেক বিরোধী নেতা আপ সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। এর আগে, শম্ভু ও খানৌরি সীমান্ত পয়েন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ফলে পাঞ্জাবের ব্যবসায়িক ও শিল্প সম্প্রদায়ের ব্যাপক ক্ষতির কথা উল্লেখ করে পাঞ্জাবের ব্যবসায়িক ও শিল্পপতিদের মধ্যে যে অস্থিরতা তৈরি হয়।