সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়। সেখানে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে সরকার একলা নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ করবে না। প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করা হবে। সেই কমিটিই নির্বাচন কমিশনে নিয়োগে বড় উদ্য়োগ নেবে। জানালেন আইনজীবী তথা অ্য়াক্টিভিস্ট প্রশান্ত ভূষণ। অন্যদিকে বিরোধীরা এতদিন অভিযোগ তুলতেন সরকারের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে কমিশন। সেক্ষেত্রে এবার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকটাই নিরপেক্ষতা আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী দলনেতা, ও দেশের প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি কমিটির পরামর্শে নিয়োগ করা হবে। এদিকে নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে গোটা প্রক্রিয়ায় সংস্কার আনার জন্য় বিভিন্ন মহল থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সেই নিরিখেই এবার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় রায় দিল আদালত।
বিচারপতিদের বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, একাধিক রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় আসে। কিন্তু নির্বাচন কমিশনে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেউই আইন তৈরির জন্য় এগিয়ে আসে না। এটা একটা টালবাহানার ঘটনা। বেঞ্চের তরফে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষভাবে ও আইন মেনে কাজ করতে হয়। তাদের সংবিধান মেনে কাজ করতে হয়।
আদালত জানিয়েছে, গণতন্ত্র কখনই সফল হতে পারে না যতক্ষণ না পর্যন্ত নির্বাচনের প্রক্রিয়ায় শুদ্ধতা রক্ষা করা না হয়। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষতা বজায় রাখা কতটা জরুরী তা নিয়ে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, সরকারের কাজ নিরপেক্ষভাবে হওয়া দরকার। নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন হওয়া দরকার।