'বিহারে স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)-এর মাধ্যমে গরিবদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।' প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী।‘বিহার যাত্রা’ কর্মসূচীতে রবিবার অন্যভাবে ধরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। ভোটার অধিকার যাত্রায় কংগ্রেস সাংসদকে বুলেট বাইকে চড়ে আরারিয়া যেতে দেখা গেল। সঙ্গে ছিলেন আরজেডি সাংসদ তেজস্বী যাদবও।
আরও পড়ুন-থমকে ইন্টারনেট, যাচ্ছে না কল! ফের Airtel নেটওয়ার্কে বড় বিপর্যয়, ভুক্তভোগী কলকাতাও
লোকসভার বিরোধী দলনেতা এবং বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রীকে একসঙ্গে বাইকে করে আরারিয়া যেতে দেখে রাস্তায় ভিড় জমায় সাধারণ মানুষ। এই যাত্রা ১৭ আগস্ট সাসারাম থেকে শুরু হয়েছে। প্রায় ১,৩০০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ১৬ দিনে ২০টি জেলারও বেশি জায়গায় পৌঁছবেন দুই নেতা। ১ সেপ্টেম্বর পাটনায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই কর্মসূচি। এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য হল ভোটাধিকার রক্ষার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এসআইআর-এর বিরোধিতা করা। তার আগে রবিবার আরারিয়ায় ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র জনসভায় রাহুল গান্ধী, এসআইআর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরিব ও প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি বলেন, 'সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বেসরকারিকরণের পর এবার গরিবদের ভোটও চুরি করতে চাইছে। এই কাজ তারা নির্বাচন কমিশনের সাহায্যে করছে।'
আরও পড়ুন-থমকে ইন্টারনেট, যাচ্ছে না কল! ফের Airtel নেটওয়ার্কে বড় বিপর্যয়, ভুক্তভোগী কলকাতাও
এরপরেই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, 'এটা এখন আর নির্বাচন কমিশন নয়, এটা ‘ইলেকশন ওমিশন'। এসআইআর আসলে একটি প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে গরিবদের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।' তিনি এই প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে জানান, 'সংবিধান দেশের প্রতিটি নাগরিককে সমান অধিকার দিয়েছে। এই প্রক্রিয়া সেই অধিকারের বিরুদ্ধে।' কংগ্রেস নেতার কথায়, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও তার জোটসঙ্গীরা জনগণের কাছ থেকে কঠিন জবাব পাবে। 'ইন্ডিয়া জোট বিহারে এই ভোট চুরির ষড়যন্ত্র সফল হতে দেবে না,' জানিয়ে তিনি কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলেন। নির্বাচনী ইস্যু ছাড়াও রাহুল গান্ধী কেন্দ্রীয় সরকারের বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক নীতিরও সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, নরেন্দ্র মোদী সরকার গরিব ও যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। তিনি বলেন, 'বেসরকারিকরণের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ ধ্বংস করে এবার তারা মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে।'