মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলার বিয়াওরা শহরের একটি সরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের প্রার্থনার পর পড়ুয়াদের গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন অধ্যক্ষ। সেই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই নিয়ে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে। তার পরেই মধ্যপ্রদেশের শিক্ষা দফতর ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: নামেই ইংলিশ মিডিয়াম! ইংরেজির শিক্ষকই নেই স্কুলে, বিক্ষোভ অভিভাবকদের
যে ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের অধ্যক্ষ দুষ্মন্ত রানা গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার সময় পড়ুয়াদের উপর চিৎকার করছেন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তোমাদের গায়ত্রী মন্ত্র জপ করতে কে বলেছে? কেন তোমরা এই মন্ত্র জপ করছো?’ স্কুলেরই এক শিক্ষক ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ডিং করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। এরপর সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট (এসডিএম) ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেন। এসডিএম স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে এই বিষয়ে একটি লিখিত উত্তর চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, ওই স্কুলে প্রতিদিন গায়ত্রী মন্ত্র জপ করার নির্দেশ ছিল। তা সত্ত্বেও এই ঘটনার পরে বিতর্কে জড়িয়েছেন অধ্যক্ষ।
বৃহস্পতিবার স্কুল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ইন্দর সিং পারমার এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর হুঁশিয়ারি, এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করা হবে না। ভারতীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী সব স্কুলে শিক্ষা দেওয়া হবে। তা নতুন শিক্ষানীতিতে বলা হয়েছে। সব ক্ষেত্রেই সরস্বতী বন্দনা বাধ্যতামূলক। স্কুলগুলিকে তা অনুসরণ করতে হবে। এসডিএম বিষয়টি তদন্ত করে শীঘ্রই একটি প্রতিবেদন জমা দেবেন।’
যদিও দুষ্মন্ত রানা বুধবার বলেছেন, ‘যেহেতু এটি একটি সরকারি স্কুল, তাই এখানে যে কোনও ধরনের ধর্মীয় কার্যকলাপ নিষিদ্ধ। এই প্রেক্ষাপটে আমরা মঙ্গলবার একটি বৈঠক করেছি। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে শুধুমাত্র সকালে জাতীয় সঙ্গীত এবং একটি অনুপ্রেরণামূলক গান গাওয়া হবে। আমরা গায়ত্রী মন্ত্র বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বলেছিলাম যে সরকারি স্কুলে কোনও বিশেষ ধর্মকে এভাবে প্রচার করা যাবে না। কিন্তু শিক্ষকরা আমার কথা শোনেননি এবং শিশুদের প্ররোচিত করেছিলেন।’ এর আগে, মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে একটি বেসরকারি স্কুলে কিছু ছাত্রকে কপালে তিলক লাগানোর জন্য এক শিক্ষক চড় মেরেছিলেন। এই নিয়ে ছাত্রদের টিসি জারি করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল।