মোদী বলেন, 'সুফি সাধকরা শুধু মসজিদ ও মাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তাঁরা যদি পবিত্র কোরানের আয়াত পাঠ করেন, তাহলে বেদের কথাও শোনেন।'
শুক্রবার জাহান-এ-খুসরোর ২৫তম সংস্করণে অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি রমজান মাসের জন্য শুভেচ্ছা জানান এবং ভারতের সম্মিলিত ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে সুফি ঐতিহ্যের প্রশংসা করেন। তিনি সুফি ঐতিহ্যের সাধুদের বহুত্ববাদী বার্তার প্রশংসা করে বলেন, তারা কোরানের আয়াতও পাঠ করেন এবং বেদও শোনেন। প্রখ্যাত সুফি কবি ও পণ্ডিত আমির খসরুর সম্মানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদী বলেন, সুফি ঐতিহ্য ভারতে একটি অনন্য পরিচয় প্রতিষ্ঠা করেছে। এদিকে মোদী বলেন, 'রমজানের পবিত্র মাস শুরু হতে চলেছে। আমি আপনাদের এবং সকল দেশবাসীকে রমজানের শুভেচ্ছা জানাতে চাই।' (আরও পড়ুন: পাচাকারীকে গুলি করে অপারেশন করায় BSF, 'ভুল' মেনে নেওয়া বাংলাদেশকে ফেরানো হল দেহ)
আরও পড়ুন: মুখে এক, কাজে আরেক বিজিবির! পদে পদে বিঁধছে 'কাঁটা', লাফিয়ে উঠছে বাংলাদেশ
সুফি শিল্পীদের একটি পরিবেশনার পরে তিনি বলেন, 'সুফি সঙ্গীত ভারতীয় জনগণের ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এ এমন একটি ঐতিহ্য যা একসাথে বাস করে এবং উদযাপন করে।' নিজামুদ্দিন আউলিয়া, রুমি, রসখানসহ বেশ কয়েকজন সুফি সাধক ও কবিদের অবদানের কথাও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, মুসলিম হয়েও ভগবান কৃষ্ণকে উৎসর্গ করে ভক্তিমূলক কবিতা লিখেছিলেন রসখান। মোদী বলেন, 'সুফি সাধকরা শুধু মসজিদ ও মাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি। তাঁরা যদি পবিত্র কোরানের আয়াত পাঠ করেন, তাহলে বেদের কথাও শোনেন।' (আরও পড়ুন: জারি অশান্তি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পোশাক ছিঁড়ল ছাত্রীরা)
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণকারী খসরু ভারতকে সকল জাতির চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। ভারতের পণ্ডিতদের অতুলনীয় এবং সংস্কৃতকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষা বলে প্রশংসা করেছিলেন। দেশের দার্শনিক ও গাণিতিক আবিষ্কার কীভাবে বিশ্বব্যাপী প্রভাব ফেলেছে তাও তুলে ধরেছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: 'গাড়ি চাপা' দেওয়ার কথা অস্বীকার TMC-র, জখম ইন্দ্রানুজ নিজে দিলেন ঘটনার বিবরণ)