উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে তরুণী গণধর্ষণের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তীব্র অসন্তোষ প্রকাশের পরেই বরুণা জোনের ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে (ডিসিপি) সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মীনার বদলিতে রাজ্য পুলিশে জল্পনা শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার নিজের সংসদীয় কেন্দ্রে পৌঁছেই তরুণী গণধর্ষণ কাণ্ডের খোঁজ প্রধানমন্ত্রী মোদী। তারপরই দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।একই সঙ্গে ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা বারাণসীতে আর না ঘটে, সে বিষয়েও পুলিশকর্তাদের সতর্ক করে দেন তিনি। আর প্রধানমন্ত্রীর সফরের পরেই বরুণা জোনের ডিসিপির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হল।
আরও পড়ুন-Lucknow fire:লখনউয়ের হাসপাতালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্কে ২০০ রোগী
বারাণসীর গণধর্ষণ মামলার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন বরুণা জোনের ডিসিপি চন্দ্রকান্ত মীনা।উত্তরপ্রদেশ পুলিশ সদর দফতরের ইন্সপেক্টর জেনারেল (পার্সোনেল) থেকে একটি চিঠি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ২০১৮ ব্যাচের আইপিএস অফিসার চন্দ্রকান্ত মীনাকে ডিজিপি পদ থেকে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চন্দ্রকান্ত মীনা বরুণা জোনের ডিসিপি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইনশৃঙ্খলা দফতরের অন্যতম দক্ষ অফিসার হিসেবেই পরিচিত মীনা। কিন্তু গণধর্ষণের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠার পরই তাঁকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে প্রশাসনিক মহলের অনুমান। যদিও, তাঁকে ঠিক কোথায় বদলি করা হয়েছে, তা এখনও সরকারি ভাবে জানানো হয়নি।পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বুধবার পুলিশ কমিশনার মোহিত আগরওয়াল ছুটি থেকে ফিরে আসার পর আরও পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন-Lucknow fire:লখনউয়ের হাসপাতালে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, আতঙ্কে ২০০ রোগী
গত ৩ এপ্রিল গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিতার মায়ের বক্তব্য অনুযাযী, ২৯ মার্চ বন্ধুর বাড়ি যাওয়ার জন্য রওনা হয়েছিলেন ওই তরুণী। নির্যাতিতা তাঁর বন্ধুর সঙ্গে একটি জায়গায় যান। সেখানে আর বেশ কয়েকজন যুবক উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তাঁর ঠান্ডা পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে তাঁকে অচেতন করে ফেলে ওই যুবকদের মধ্যে একজন। এরপর ৭ দিন ধরে সিগ্রা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে অন্তত ২৩ জন। এরপর ৪ এপ্রিল খোঁজ মেলে ওই তরুণীর। এরপর ৬ এপ্রিল লালপুর থানায় অভিযোগ করেন নির্যাতিতা। অভিযোগের ভিত্তিতে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তে নেমে ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও ১০ অভিযুক্ত পলাতক। তদন্তে নেমে পুলিশ একটি যৌনচক্রের হদিস পায়। মূল অভিযুক্তের মোবাইল ফোন থেকে পাওয়া গিয়েছে ৫৪৬ জন মহিলার আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও, যেগুলি উত্তরপ্রদেশ ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু-সহ বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে গ্রাহক তৈরি করা হত বলে অভিযোগ।