মধ্যরাতে জন্মদিনের অনুষ্ঠান চলাকালীন ভয়াবহ দুর্ঘটনা। মহারাষ্ট্রের পালঘরে চারতলা আবাসনের এক অংশ ধসে পড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এই দুর্ঘটনায় কমপক্ষে শিশু-সহ দু'জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন নয় জন। আরও কয়েকজন এখনও ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, ভাসাই তালুকের ভিরার-ইস্ট এলাকার নারাঙ্গি রোডে চামুন্ডা নগর এবং বিজয় নগরের মধ্যে অবস্থিত চারতলা ভবন-রমাবাই অ্যাপার্টমেন্ট আচমকা বুধবার মধ্যরাতে ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনাটি যখন ঘটে, তখন ওই ভবনের চারতলায় একটি জন্মদিনের পার্টি চলছিল।অনেকে সেই পার্টিতে উপস্থিত থাকায়, হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর পেয়েই ভাসাই ভিরার সিটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন, মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার পুলিশ এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপরেই শুরু হয় অনুসন্ধান ও উদ্ধারকার্য। জানা গিয়েছে, রমাবাই অ্যাপার্টমেন্ট আজ থেকে ১০ বছর আগে তৈরি হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত নয় জনকে উদ্ধার করে ভিরারের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রায় ১২ জন এখনও আটকে ধসে যাওয়া বাড়ির ভিতরে। উদ্ধারকার্যের জন্য এসঅ্যান্ডআর টিমগুলি গ্যাস-কাটার ব্যবহার করে অত্যন্ত সাবধানে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করা হচ্ছে। জীবিতদের খুঁজে বের করছে।সারা রাত ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে প্রাণের সন্ধান করেছে তারা। বুধবার সকালেও উদ্ধারকাজ অব্যাহত। ভাসাই-ভিরার সিটি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘বুধবার সকাল পর্যন্ত ১১ জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে শিশু-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।’
উল্লেখ্য, চলতি বছর বর্ষার জন্য অনেক জায়গায় বাড়ি ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছর জুনে বহুতল ধসে মালদহের তিন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয় কেরলে।তারপর আগস্ট শুরু হতে না হতেই সাউথ ইস্ট দিল্লির জৈতপুর এলাকায় বাড়ি ধসে পড়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের। প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় মানুষ এবং উদ্ধারকারী দল তাৎক্ষণিকভাবে ত্রাণ কার্য শুরু করে। নিহতদের মধ্যে ৩ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা এবং ২ জন শিশুকন্যাও ছিল। তারা আবার পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতেন।