ইমরান খানের পরামর্শ মেনে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি। তার ফলে আপাতত সরাসরি ক্ষমতাচ্যুত হওয়া থেকে বেঁচে গেল ইমরান সরকার। আবার নতুন করে নির্বাচন হবে পাকিস্তানে।
শেষ মুহূর্তের ‘রিভার্স সুইংয়ে’ রবিবার ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেন পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি। তারপরেই ইমরান বলেন, 'সংসদ ভেঙে দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লিখেছি আমি। গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হওয়া উচিত। আমি পাকিস্তানের মানুষকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।' সেইসঙ্গে অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে দেওয়ায় ডেপুটি স্পিকারের প্রশংসা করেন ইমরান। তিনি বলেন, ‘সরকার পরিবর্তনের চেষ্টা (এবং) বিদেশি ষড়যন্ত্রকে খারিজ করে দিয়েছেন (ডেপুটি স্পিকার)।’
অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল কেন?
গত কয়েকদিন ধরে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট নিয়ে চূড়ান্ত নাটক চলেছে। একাধিকবার সংসদ মুলতুবি হওয়ার পর রবিবার ফের অধিবেশন শুরু হয়। ইমরান সরকারের মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী দাবি করেন, সরকারকে উৎখাত করতে বিদেশি শক্তি ষড়যন্ত্র করছে। গত ৭ মার্চ পাকিস্তানের দূতকে একটি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাতে একাধিক দেশের প্রতিনিধি যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে বলা হয়েছিল যে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করা হচ্ছে। তাই অনাস্থা প্রস্তাব সংবিধানের পাঁচ নম্বর ধারা নম্বর লঙ্ঘন করছে বলে দাবি করেন ইমরান সরকারের মন্ত্রী।