অপারেশন সিঁদুরের সময় ভারত ৮০টি যুদ্ধবিমান নিয়ে হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানে। আমেরিকায় গিয়ে সেই কথা স্বীকার করল পাক প্রতিনিধিরা। এহেন পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের কাতর আর্তি, আমেরিকা যেন তাদের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম দেয়। ওয়াশিংটনে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং নওয়াজ শরিফের মন্ত্রিসভার মন্ত্রী মুসাদ্দিক মালিকের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি। সেখানে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। তাঁর বক্তব্য পাকিস্তানের সরকারের 'বিজয়ের' দাবির সম্পূর্ণ বিপরীত ছিল। (আরও পড়ুন: এবার চিনের উত্তরে ভারতীয় সেনা, ড্রাগনের হাড় কাঁপাতেই ছুটল 'যাযাবর হাতি'?)
তিনি বলেন, 'ভারত ৮০টি বিমান এবং ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে এসেছিল। যার মধ্যে কয়েকটি পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম। আপনারা দেখেছেন আমাদের কী হতে পারত। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম না থাকলে আমরা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতাম। ভারত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তারা আমাদের থেকে অনেক এগিয়ে। আপনারা যে প্রযুক্তি নিয়ে এসেছেন, আমরা আপনার কাছ থেকে কিনতে প্রস্তুত।' এই আবহে আমেরিকার কাছ থেকে কার্যত এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের ভিক্ষা চাইল পাকিস্তান। (আরও পড়ুন: ‘আমি তো হুজুর বাচ্চা…’,আদালতে 'কান্নাকাটি' ভারতে হামলার ছক কষা ISIS জঙ্গির)
আরও পড়ুন: ৬৬ টাকার রেটে চলছে এই স্টক, ২০ কোটি শেয়ার বিক্রি করবে প্রোমোটাররা
আরও পড়ুন: নূর খান বেস পরিচালনা করে আমেরিকা! বিস্ফোরক দাবি পাকিস্তানি বিশেষজ্ঞের
এর আগে ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের পাশেই ছিল চিন। সেখানে চিনা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করেছিল পাকিস্তানি বাহিনী। তবে তা ডাহা ফেল করেছিল। অপারেশন সিঁদুরের সময় চারটি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান এবং চিনের তৈরি দুটি বড় সামরিক বিমান (সি-১৩০জে ও এসএএবি ২০০০) ধ্বংস করেছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী ও এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে, সারগোধা, রফিকি, জ্যাকোবাবাদ, নুর খান-সহ ১১টি পাকিস্তানি বিমানঘাঁটিতে নিখুঁত ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। এসব হামলায় দুটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। (আরও পড়ুন: সামনে এল নয়া তথ্য, অপেক্ষা করতে হলেও মুখে হাসি ফুটতে পারে সরকারি কর্মীদের)
রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৭ মে মুরিদকেতে লস্কর-ই-তৈবার সদর দফতরে ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। এরপরই জইশ-ই-মহম্মদের মারকাজ-ই-সুবহান আল্লাহতে স্কাল্প ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়ে তা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর এম৭৭৭ হাউইৎজার বন্দুক এবং এক্সক্যালিবার জিপিএস-গাইডেড গোলাবারুদ ব্যবহার করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর পাকিস্তানের দ্বিতীয় সারির প্রতিরক্ষা পোস্টগুলি ধ্বংস করে দিয়েছিল এই সংঘাতের সময়। ৭ থেকে ১০ মে'র মধ্যে ভারত ১৩টি বিমানঘাঁটি ও সামরিক ঘাঁটি এবং পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ৯টি জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। সেনার হিসেব অনুযায়ী, এই অভিযানে খতম হয়েছে অন্তত ১০০ জন জঙ্গি। ইজরায়েলি এবং পোলিশ ড্রোন, এবং নৌবাহিনীও এই মিশনে সক্রিয় ছিল।