ধৃত আইএসআইএস জঙ্গি ফৈজান আনসারি ওরফে ফৈয়াজ গ্রেফতারির প্রায় দু'বছর পর নিজেকে নাবালক বলে দাবি করল। এই আবহে জুভেনাইল অ্যাক্টে আদালতে পিটিশন দাখিল করেছে সে। আপাতত সে ঝাড়খণ্ডের জেলে বন্দি। বিশেষ এনআইএ আদালতে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে যুক্ত থাকার অভিযোগে মামলার শুনানি চলছে। এরই মাঝে এবার ফৈজানের নাবালক হওয়ার দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের দাবি সত্যি প্রমাণিত হলে চলমান মামলার শুনানি মুলতবি করা হবে। নাবালক ঘোষণা করা হলে মামলাটি শিশু আদালতে স্থানান্তরিত হবে, যেখানে অভিযুক্ত তুলনামূলক অনেক স্বস্তি পেতে পারে। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ধর্ম পরিবর্তন করে মুসলিম না হলে ছাত্রীর বাড়িতে বোমা মারার হুমকি 'বন্ধুর')
আরও পড়ুন: মেইতেই নেতাদের গ্রেফতারির খবরে আগুন জ্বলল মণিপুরে, ৫ জেলায় বন্ধ হল ইন্টারনেট
ফৈজানের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত শেষ করেছেন এবং ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি শক্ত প্রমাণ সহ তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। চার্জশিট আমলে নিয়ে আদালত ২০২৪ সালের ২২ জুন ফৈজান আনসারি ও উমর বাহাদুর ওরফে রাহুল সেনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। এর পরে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই থেকে এনআইএর পক্ষে সাক্ষ্য রেকর্ড করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। শুনানি এতদূর গড়ানোর পর ফৈজান এখন একটি পিটিশন দাখিল করেছে যে গ্রেফতারের সময় তার বয়স ১৮ বছরের কম ছিল। উল্লেখ্য, লোহারদাগা মিল্লাত কলোনির বাসিন্দা ফৈজান থাকত উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই আইএসআইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশ, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী কনটেন্ট ছড়ানো, যুবসমাজকে দেশের বিরুদ্ধে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে এনআইএ। গ্রেফতারের সময় বয়সের ভিত্তিতে তাকে ঝাড়খণ্ডের বিরসা মুন্ডা সেন্ট্রাল জেল হোটওয়ারে পাঠানো হয়েছিল। (আরও পড়ুন: চেয়েছিল ৪, পেয়েছে মাত্র ১.৫ খানা চেয়ার, একগুঁয়ে পাকিস্তানে বিরক্ত UNSC সদস্যরা)
আরও পড়ুন: আমেরিকার কাছে কোনও ভাবেই মাথা নত করবে না ভারত, কঠোর অবস্থান মোদী সরকারের
ফৈজানের বিরুদ্ধে আইএসআইএস জঙ্গিদের সঙ্গে যোগসাজশ, দেশবিরোধী কার্যকলাপ চালানো, সোশ্যাল মিডিয়ায় দেশবিরোধী বিষয়বস্তু প্রচার করা, দেশের বিরুদ্ধে যুবসমাজকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সে ভারতে এবং বিদেশে অবস্থিত আইএসআইএস কর্মীদের সাথে যোগসাজশে বেআইনি কার্যকলাপে জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল ভারতে একটি সহিংস সন্ত্রাসী হামলা চালানো। তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আইএস সংশ্লিষ্ট সাইবার গ্রুপ তৈরি ও পরিচালনার অভিযোগ রয়েছে। তবে অভিযুক্তের নাবালক হওয়ার দাবি যদি সত্য হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে চলমান শুনানি মুলতবি করা হবে। নাবালক ঘোষণা করা হলে মামলাটি শিশু আদালতে স্থানান্তরিত হবে।