গতকালই লোকসভায় পেশ হয়েছে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' সংক্রান্ত দু'টি সাংবিধানিক সংশোধনী বিল। বিরোধীদের দাবি মেনে ভোটাভুটির মাধ্যমে সেই বিল পেশের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় লোকসভায়। এবং বিলটি পেশ হতেই কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী সেটিকে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানোর সুপারিশ করেন। এই বিল দু'টি যে কমিটিতে পাঠানো হবে, তা তৈরি করে হবে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সেই কমিটিতে থাকবেন ৩১ জন সাংসদ। যার মধ্যে ২১ জন থাকবেন লোকসভা থেকে। বাকি ১০ জন থাকবেন রাজ্যসভা থেকে। এই কমিটির সদস্যদের বেছে নেবেন লকসভার স্পিকার ওম বিড়লা।
এই যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে ৪৮ ঘণ্টার ডেডলাইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই শীতকালীন অধিবেশন চলবে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত। তার মধ্যে যদি যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন না হয়, তাহলে এই বিলটিকে নতুন করে পরবর্তী বাজেট অধিবেশনে পেশ করতে হবে। এই আবহে কমিটি গঠন নিয়ে তোড়জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে গতকাল থেকেই। রাজনৈতিক দলগুলি থেকে ইতিমধ্যেই তাঁদের পছন্দের সদস্যদের নাম জানতে চাওয়া হয়েছে।
এদিকে কোন দলের কতজন সাংসদ থাকবেন এই যৌথ সংসদীয় কমিটিতে? রিপোর্ট অনুযায়ী, সংসদে যে দলের যত সাংসদ, সেই অনুপাতেই যৌথ সংসদীয় কমিটিতে সদস্য বাছাই হবে। এই আবহে এই যৌথ সংসদীয় কমিটিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য বিজেপিরই হতে চলেছে। এদিকে একবার এই কমিটি গঠন হয়ে গেলে, তাদের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্যে ৯০ দিন সময় থাকবে। অবশ্য প্রয়োজন মতো সেই সময়সীমা বৃদ্ধিও করা যেতে পারে।
এদিকে কেন এই যৌথ সংসদীয় কমিটি? 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে কী কাজ করবে এই কমিটি? জানা গিয়েছে, এই কমিটি বৃহত্তর ক্ষেত্রে 'এক দেশ, এক নির্বাচন' নিয়ে আলোচনা করবে। যে সব সাংসদ এই কমিটির সদস্য নন, তাঁদের সঙ্গেও কথা বলবেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও সাংবিধানিক ইস্যুতে পারদর্শী প্রাক্তন বিচারপতি এবং আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলা হবে এই নিয়ে। এদিকে নির্বাচন কমিশনের প্রাক্তন সদস্যদের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করা হতে পারে। এছাড়াও সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সব রাজ্যের বিধানসভার স্পিকারদের সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা করতে ইচ্ছুক বিজেপি। এছাড়াও সাধারণ মানুষের থেকেও এই ইস্যুতে মতামত জানতে চাওয়া হবে। এই সব কথাবার্তা হয়ে গেলে দুই সংশোধনী বিল নিয়ে যদি কোনও পরিবর্তনের কথা মনে হয়, তাহলে সেটি প্রস্তাব করবে এই কমিটি।