ব্ল্যাকমেইলে মোকবিলা নয়।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করবে চিন। পাল্টা শুল্ক নীতি ইস্যুতে খানিক সুর নরম করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বার্তা দিয়েছে বেজিং। ট্রাম্পের শুল্কনীতি ভারে জর্জরিত গোটা বিশ্ব।ঠিক তখনই মার্কিন নয়া শুল্কনীতি আগামী ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।যার ফলে ভারত-সহ অন্যান্য দেশ স্বস্তি পেলেও বড় ধাক্কা খেয়েছে চিন।কারণ চিন ছাড়া বাকি সকল দেশের জন্যই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।পাশাপাশি চিনের উপর শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এবার থেকে তিনি চিনা পণ্যের উপর ১২৫ শতাংশ হারে শুল্ক ধার্য করা হবে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এই আবহে চিনের বাণিজ্য মন্ত্রক কিছুটা সুর নরম করে জানিয়েছে, বেজিং ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি থাকলেও তা পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সমতার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। বাণিজ্য মন্ত্রকের মুখপাত্র হে ইয়ংকিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, চাপ, হুমকি এবং ব্ল্যাকমেইলের সাহায্যে চিনের সঙ্গে মোকাবিলা করার সঠিক উপায় নয়।তিনি আরও জানান, ‘যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এভাবে নিজস্ব পথে চলতে থাকে বেজিং শেষ পর্যন্ত তা দেখবে।’
এর আগে বুধবার ট্রুথ সোশ্যাল-এ প্রেসিডেন্ ট্রাম্প লেখেন, ‘বিশ্ব বাজারের প্রতি চিন যে অসম্মান দেখাচ্ছে তার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চিনের উপর আরোপিত শুল্ক বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে। আশা করি ভবিষ্যতে, চিন বুঝতে পারবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশকে ঠকানোর দিন আর নেই।' আর তার জবাবে বুধবারই মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে ৮৪ শতাংশ হারে শুল্ক নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজিং। এর আগে মার্কিন পণ্যে ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বেজিং।
২এপ্রিল ভারত, চিন-সহ একাধিক দেশের উপর পাল্টা শুল্ক আরোপ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এরপরেই ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের বিরুদ্ধে চিনও মার্কিন পণ্যের উপর ৩৪ শতাংশ শুল্ক ঘোষণা করেছিল। তারপর চিনকে মার্কিন আমদানির উপর ৩৪ শতাংশ পাল্টা শুল্ক ঘোষণা বাতিল করার জন্য একদিন সময় বেঁধে দেন ট্রাম্প। তখন তিনি বলেন, সময়সীমা পূরণ না হলে ৯ এপ্রিল থেকে চিনের উপর অতিরিক্ত ৫০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হবে। ফলে সব মিলিয়ে চিনের উপর এখন ১২৫ সতাংশ মার্কিন শুল্কের খাঁড়া ঝুলছে।