কংগ্রেস ন্যাশনাল হেরাল্ডকে গান্ধী পরিবারের এটিএম-এ পরিণত করেছে। এভাবেই কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকে তোপ দেগেছে বিজেপি। মঙ্গলবারই ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ পাচার মামলায় সনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একই সঙ্গে কগ্রেসের ওভারসিজ ইউনিটের প্রধান শ্যাম পিত্রোদার নামও রয়েছে চার্জশিটে। আগামী ২৫ এপ্রিল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।এই আবহে গান্ধী পরিবারের তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। (আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চিনা ঘাঁটির জুজুকে বুড়ো আঙুল ভারতীয় সেনার, করল পালটা শক্তি প্রদর্শন)
বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, 'কংগ্রেসের দেশজুড়ে প্রতিবাদ করার অধিকার আছে।কিন্তু ন্যাশনাল হেরাল্ডকে দেওয়া সরকারি সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অধিকার তাঁদের নেই। এরপরেই তিনি বলেন,'ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৩৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এর ৫,০০০ শেয়ারহোল্ডার শেয়ার কিনেছিলেন। এটি কখনই নেহেরু পরিবারের ব্যক্তিগত সম্পত্তি ছিল না এবং এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে, অনেক বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং কংগ্রেস নেতা এই উদ্যোগকে সমর্থন করেছিলেন।' বিজেপি নেতার কথায়, 'গান্ধী পরিবার দিল্লি, মুম্বই, লখনউ, ভোপাল এবং পাটনার মতো শহরগুলিতে মূল্যবান রিয়েল এস্টেট সম্পত্তি দখল করার জন্য ইয়ং ইন্ডিয়া লিমিটেডের মাধ্যমে একটি কর্পোরেট ষড়যন্ত্র করেছে।ইয়ং ইন্ডিয়ার একটি দাতব্য সংস্থা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এটি কোন দাতব্য প্রতিষ্ঠান করেছে? তারা ৯০ কোটি টাকা ৫০ লক্ষ টাকায় বাতিল করে হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি অর্জন করেছে। (আরও পড়ুন: 'মুসলিমদের থেকে বড় মুসলিম হওয়ার চেষ্টায় হিন্দুদের বলি দিচ্ছেন মমতা')
রবিশঙ্কর আরও বলেন, এই সংবাদপত্র, যা স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা মানুষের কণ্ঠস্বরকে শক্তিশালী করার কথা ছিল, তা একটি ব্যক্তিগত ব্যবসায় পরিণত হয়েছে।এটি গান্ধী পরিবারের জন্য একটি এটিএম।তিনি আরও বলেন, 'ভুলে গেলে চলবে না যে রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধী জামিনে মুক্ত আছেন। তাঁরা মামলা খারিজের জন্য হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া উচিত কিনা?' অন্যদিকে বিজেপি মুখপাত্র সিআর কেশবন বলেন, 'এটি ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থা নয়। এটি মোদীর ভারত, যেখানে কেউ সংবিধানের ঊর্ধ্বে নয়। কংগ্রেস এজেন্সিগুলিকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে কারণ তারা ভয় পায়। যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে তারা কেন আতঙ্কিত? সত্য সর্বদা জয়ী হয়-মিথ্যা কখনও জয়ী হয় না।
আরও পড়ুন: 'বিএসএফ টাকা দিয়ে ইট ছুড়িয়েছে', মোদী-ইউনুস বৈঠক নিয়েও বিস্ফোরক মমতা