এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানসিক সমস্যায় ভুক্তভোগী ছেলে। আর দিনের পর দিন নিজের সন্তানকে এই করুণ অবস্থায় দেখে সহ্য করতে পারছিলেন মা। শেষ পর্যন্ত অবসাদেই ১১ বছরের ছেলেকে নিয়েই ১৩ তলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ মারলেন মহিলা। মৃত্যু হয়েছে দু'জনেরই। মৃতার ঘর থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, সেটি একটি সুইসাইড নোট।
আরও পড়ুন-'২৪৩ আসনেই আমি প্রার্থী!' তেজস্বীর ঘোষণায় বিহারে জটিলতা, বিরোধী জোটে আসন সঙ্কট
শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম সাক্ষী চাওলা (৩৭) এবং তাঁর ছেলে দক্ষ। নয়ডার একটি ফ্ল্যাটে স্বামী দর্পণ চাওলার সঙ্গে থাকতেন দু'জনে। দক্ষ দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিল এবং তার চিকিৎসা চলছিল। এই পরিস্থিতি নিয়ে সাক্ষী দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দর্পণ চাওলা পেশায় সিএ। ঘটনার সময় তিনি বাড়িতেই উপস্থিত ছিলেন। পুলিশকে দর্পণ জানিয়েছেন, তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। হঠাৎ একটি চিৎকার শুনতে পান। দৌড়ে বারান্দায় গিয়ে দেখেন, তাঁর স্ত্রী এবং ছেলে নীচে পড়ে আছে। খবর পেয়েই পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ইতিমধ্যে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরে পুলিশ মৃতার ঘর থেকে একটি নোট উদ্ধার করে। সেই নোটে সাক্ষী তাঁর স্বামীকে উদ্দেশ করে লিখেছেন, 'আমরা এই পৃথিবী ছেড়ে যাচ্ছি...। আমরা আর তোমাকে কষ্ট দিতে চাই না। আমাদের জন্য তোমার জীবন নষ্ট হওয়া উচিত নয়। আমাদের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।'
আরও পড়ুন-'২৪৩ আসনেই আমি প্রার্থী!' তেজস্বীর ঘোষণায় বিহারে জটিলতা, বিরোধী জোটে আসন সঙ্কট
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গ্রেটার নয়ডায়। প্রতিবেশীরা এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত। পুলিশ প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে যে মানসিক চাপে সাক্ষী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। সেন্ট্রাল নয়ডার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার শক্তি অবস্থি বলেন, 'পুলিশের টিম একটি সুইসাইড নোট পেয়েছে। তারা জানতে পেরেছে যে ছেলেটি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছি।' জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দক্ষর বাবা দর্পণ চাওলাকেও। প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতদের পরিবারে সেভাবে কোনও অশান্তি ছিল না। আবাসনে সকলের সঙ্গেই মিলেমিশে থাকতেন তাঁরা। এখন এই জোড়া মৃত্যুর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।